খুলনা :
গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যস্থতায় এবার সুন্দববনের বনদস্যু ছোট রাজু বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বরিশালের রূপাতলীতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা তারা আত্মসমর্পণ করেন।
বাহিনী প্রধান রাজু মোল্লার নেতৃত্বে ১৫ সদস্য আজ আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তারা ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ২৩৭ রাউন্ড গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোন জলদস্যু-বনদস্যুর ঠাঁই হবে না। যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরা হলেন- জলদস্যু ‘ছোট রাজু’ বাহিনীর প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে ছোট রাজু (৪৮), বাহিনীর সদস্য মনিরুল ইসলাম (৩৫), সিরাজুল ইসলাম গাজী (২৯), আফজাল হোসেন (২৫), হারুন সরদার (৩৮), বিল্লাল গাজী ওরফে ম্যাজিক বিল্লাল (৩৬), খতিব গাজী (৩৭), মিকাইল গাজী (৩৭), কামরুল সরদার (৩৯), ফরহাদ সরদার (২৬), সালাম গাজী (৩৭), মিলন শেখ (২৫), ফরহাদ গাজী (৩২), সাব্বির শেখ (৪২) ও মনিরুল গাজী মনি (৩৯)।
র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক আদনান কবির জানান, দুর্ধর্ষ ছোট রাজু বাহিনী ২৯ মার্চ র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণের পর তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র সরঞ্জামসহ বাগেরহাট জেলার মংলা থানাধীন বিএফডিসি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
আত্মসমর্পণকারীদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশী একনালা বন্দুক, ৫টি বিদেশী দোনালা বন্দুক, ৫টি পয়েন্ট টুটু বোর বিদেশী এয়ার রাইফেল, ২টি বিদেশী পয়েন্ট টুটু রাইফেল, ৪টি বিদেশী ওয়ান শুটারসহ সর্বমোট ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ২৩৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি জব্দ করা হয়।
ছোট রাজু বাহিনী পূর্ব সুন্দরবনের মংলা, হাড়বাড়িয়া, ভদ্রা এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে সর্বাপেক্ষা সক্রিয় একটি জলদস্যু বাহিনী। পশুর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খাল ও চাঁদপাই রেঞ্জের ভদ্রা, মরাপশুর ও জুমার সংলগ্ন অঞ্চলের বনজীবী ও জলজীবী সাধারণ মানুষ তাদের প্রধান টার্গেট ছিল।
রাজু মোল্লা ওরফে ছোট রাজু দীর্ঘদিন ধরে এ বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে। তিনি ২০১২ সাল থেকে সুন্দরবনে জলদস্যুবৃত্তি করে আসছেন বলে জানান র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক আদনান কবির।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল মো. আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হান্নান, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন ও বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে সুন্দরবনের জাহাঙ্গীর, মাস্টার, মজনু, ইলিয়াস ও খোকা বাবু বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী।
সম্পাদনা/ এমএ