বড়পুকুরিয়া  কয়লাখনি এলাকার গ্রামের বাড়ি ঘর ও জমিতে ফাটল: গ্রামবাসীরা আতংকে

 

মোঃ আফজাল হােসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার বাড়ি ঘর ও জমিতে নতুন করে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে । এলাকার গ্রাম বাসিদের মধ্যে আতংকে দিন কাটছে।

গত ২৮ মার্চ বড়পুকুরিয়া ৯নাম্বার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার বাঁশপুকুর, বদ্দনাথপুরম, শীবকঞপুর গ্রামের বাড়ি ঘর ও আবাদি জমি এবং চলাচলের রাস্তা গুলোতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে । এমন কি ঐ এলাকা দেবে যাচ্ছে। গত ৫ বছর আগে সরকার ঐ এলাকার প্রায় ৬শত একর জমি নতুন করে অধিগ্রহন  করেছেন।  তার মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রাম কয়লাখনির মধ্যে পড়েযায়। এর মধ্যে কিছু অংশ গ্রাম বাদ পড়ে যায়।

এতে ১শত একর জমি অধিগ্রহন  ভুক্ত করা হয়নি । ঐ এলাকার গ্রাম গুলোর ভু-গর্ভ¯ থেকে কয়লা তােলার কারন নতুন করে গ্রাম গুলোর আবাদি জমি, রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতে ফাটল শুরু হয়েছে । গ্রামের মানুষেরা এখন আতংকে দিন কাটছে। অনেক রাত্রিতে নিজ বাড়িতে না থেকে অন্যের এলাকায় গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটছে। ইতি পুর্বে এমন ঘটনা ঐ এলাকায় হওয়ার পর এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলন সরকার এলাকার মানুষেক ক্ষতি পুরন দিয়েছেন। সেই ক্ষতিপুরন নিয়ে এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট নয়। বলা হয়েছিল যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের জন্য নতুন করে কাল মাইনিং বিগসিটি টাউন গড়ে তোলা হবে। যা দেখে এলাকার মানুষ খুশি হবে।

কি এলাকার প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রী তা করতে ব্যার্থ হয়েছেন। এলাকার মানুষ খনি আন্দোলন করতে গেলেই তাদের বিরুেদ্ধ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। যাতে কেউ খনির বিরুদ্ধে কান কথা বলতে না পারে। এই এলাকার মানুষ যেভাবে  ক্ষতিগ্রস্ত¯ হয়েছে তা কোন দিন পুরন হওয়ার কথা নয়। ¯স্কুল কলেজ, আবাদিজমি, বাসাবাড়ি,গাছপালা, সাতপুরুষের কবরস্থান, মাদ্রাসা, মসজিদ,মন্দির, রাস্তাঘাট, হাটবাজার সহ সবকিছু হারিয়েছে। এখন ঐ এলাকা শ্বাষানে পরিনত হয়েছে।

খনি এলাকায় জীবন  পরিবেশ ও রক্ষাকমিটির আহবায়ক মো. মশিউর রহমান বুলবুল হামিদপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর, বদ্দনাথপুরম ,শীবকঞপুর এলাকা গত ২৯ মার্চ সকাল পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি খনি কতৃপক্ষকে জানান।

এ দিকে বড়পুকুরিয়া কাল মাইনিং কােম্পানী লিমিটড এর প্রকৌশলী আলহাজ্ হাবীব উদ্দিন এর সাথে গত রবিবার রাত এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি । তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে । কি পরিমান এলাকার ক্ষতি হচ্ছে তা কমিটি সিন্ধান্ত নিব। আতংক হওয়ার কিছু নেই। যারা ক্ষতিগ্রস্ত¯ হবে পুর্বের ন্যায় ক্ষতিপুরন দেওয়া হবে।

অপর দিকে গত বৃহঃস্পতিবার হামিদপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মাে. ছাদেকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযােগ করা হলে তিনি জানান পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান তরফদারকে জানানো হয়েছে । গত বৃহঃস্পতিবার সকাল সাড় ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান তরফদার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *