রাকিব আহমেদ সোহেল,কেশবপুর (যশোর) :
যশোর কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নে গড়ভাংগা বাজার হতে ইমাননগর এম বি জি দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই রাস্তার উপর নির্ভর করে আশেপাশের ২/৩ হাজার মানুষ। এই গ্রামের দৈনন্দিন চলাচল এবং মাঠ থেকে ফসল উঠানোর একমাত্র রাস্তা এটি।
কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ফসল নিয়ে চলাচল করা তো দূরের কথা স্বাভাবিক চলাচল একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে, এবং কাদামাটিতে এমন অবস্থা হয় যার ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চলাচল চরম ভাবে বিঘ্নিত হয়ে পড়ে ।
সেই সাথে কৃষকের কষ্টে অর্জিত ফসল ঘরে তোলা এবং বাজারজাত করন সম্ভব না হওয়ার কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। গড়ভাংগার এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতে পড়তে হয় ব্যাপক বিড়ম্বনায় ।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে এলাকাবাসীরা বলেন- এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার লোক যাতায়াত করে, কিন্তু এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। চেয়ারম্যান, মেম্বার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান। আমরা সেই আশায় বুক বেঁধে থাকি, কিন্তু আশা আশাই রয়ে যায় , আমাদের এই দুর্দশার কোন অবসান হয় না।
এলাকার খেটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো আক্ষেপ করে বলেন- আমরা টিভিতে দেখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতায়নের শতভাগ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে এই এলাকার জনপ্রতিনিধি গনের কোন নজর আমাদের এই রাস্তার উপরে পড়েনা , কেন তা আমাদের জানা নেই ।
তাই এলাকাবাসীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন- আপনি বিশ্ব মানবতার “মা”, আপনার কাছে চাইলে কেউ খালি হাতে এখন পর্যন্ত ফেরে নাই, তাই আমাদের আকুল আবেদন, আমাদের এই রাস্তাটি পাকা করন করলে আমাদের সন্তানরা সুন্দরভাবে স্কুল কলেজে যেতে পারবে, আমাদের কষ্টে অর্জিত ফসল আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঘরে তুলে তা বাজারজাত করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে।
বাংলারদর্পন