স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার মারধরে আওয়ামীলীগ কর্মীর মৃত্যু | বাংলারদর্পণ

বগুড়া সংবাদদাতাঃ
বগুড়ার শেরপুরের জামুন্না স্যানাপাড়া এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার মারধরে আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল হালিম (২৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শজিমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ নিয়ে গাড়িদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ৩ বছর আগে ছাত্রদল থেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে যোগদান করেন। পরে শেরপুর শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেন।

পদ পাওয়ার পর থেকে একই ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সাবেক শিবিরকর্মী মুহায়মিনু, বাংড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাওছার ও গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের মকবর আলীর ছেলে শাহিনসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোয়ালিটি ফিড ও গাড়িদহ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

এ অবস্থা দেখে গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল হালিম চাঁদা তুলতে নিষেধ করে। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকালে কোয়ালিটি ফিড কোম্পানির পাশে জামুন্না স্যানাপাড়া এলাকায় তাকে একা পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হালিমের ওপর হামলা করে তার সহযোগীরা। তারা হালিমের ডান হাতের ৫টি আঙুল কেটে ও ডান পা ভেঙে গাড়িদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় হালিম মারা যান। মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ায় শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজসহ তার ক্যাডার বাহিনী গা-ঢাকা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এলাকাটি শেরপুর থানার অন্তর্ভুক্ত নয় বলে তিনি দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে শাহজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন বলেন, বিষয়টি জানা নেই, তবে অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *