বিএনপিকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

প্রতিবেদকঃ
বিএনপিকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধবার (২৯জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একঅনির্ধারিত বৈঠক শেষে নেতারা এ আহ্বান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ মবাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদহোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, শফিউল আলমচৌধুরী নাদেল, ত্রাণ ও সমাজক্যালণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যবেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে বিনয়েরসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বিএনপি কি করছেন? কোন কাজটা করছে তারা বলুক! উপদ্রুত এলাকায়যান। আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি ঘুমাইয়া আছে?আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে? দেখেন; তারা তাদের সকল শক্তি নিয়ে জনগণেরপাশে আছেন।

মতিয়া চৌধুরী করোনাভাইরাস দুর্যোগ ও বন্যাকবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের সহায়তার কোনকমতি নেই। সরকার, স্থানীয় জনপ্রিতিনিধি এবংদলের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশেনিরবিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, গত পরশুদিন রাতেআমার নির্বাচনি এলাকা থেকে আসলাম। আমি দেখলাম সেখানে নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধি তৃণমূলপর্যায়ে আছেন, তারা রীতিমতো বলছেন যে, আমরাত্রাণ দিতে দিতে হাঁপায়া উঠছি। আমি এক তরফাবক্তব্য শুনি নাই। আমি আবার যারা ত্রাণ গ্রহিতাতাদেরও জিজ্ঞাসা করলাম, কি অবস্থা? বললেন, নাগো আপা খাওয়ার কোন কষ্ট নাই।

আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও স্থানীয়প্রতিনিধিরা ত্রাণ কার্যে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে তিনিবলেন,সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তারা জনগনের প্রতিসেবার করার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে কাজ করছে।এখানে বিএনপি বা অন্য দলের জনপ্রতিনিধি হিসাবেকাউকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে না। সবাইকেসমানভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। এটাইআওয়ামী লীগের দর্শন, এটাই আজকে প্রতিষ্ঠিত।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, একদিকে করোনা আবারঅন্যদিকে বন্যা আসছে। নিঃসন্দেহে এটা একটাগুরুতর চ্যালেঞ্জ। প্রকৃতি এবং অদৃশ্য শত্রু করোনারমোকাবেলা; দুইটাকে মোকাবেলা করছেন সবচাইতেবলীয়ান এবং অটল বিশ^াসী শেখ হাসিনা। তিনিএই দুর্যোগে কান্ডারী হিসাবে কর্মকান্ড পরিচালনাকরছেন। এখানে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তুআমি বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বিএনপিকি করছেন? বিএনপি কোন কাজটা করছে তারাবলুক!

বিএনপিকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানিয়ে মতিয়াচৌধুরী বলেন, ‘যান উপদ্রুত এলাকায়। আওয়ামীলীগের কর্মীরা কি ঘুমাইয়া আছে? আওয়ামী লীগেরকর্মীরা কি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগেরকর্মীরা কি পলায়নপর মনেবৃত্তি নিয়ে আছে? তারাতাদের সকল শক্তি নিয়ে জনগণের পাশে আছেন।

১৯৯৮ সালের বন্যাতে সেদিন এফএও বলেছিল, দুইকোটি লোক না খেয়ে মারা যাবে? দুই কোটি লোকতো দূরের কথা, দুইটা পিঁপড়াও না খেয়ে মরেনি। এটাআমরা অহংকার করি না, এটা আমাদের কর্তব্য।সময়ের আহ্বানে চিরদিন আওয়ামী লীগ অংশনিয়েছে। সেখানে আমাদের গাইডলাইন হিসাবে কাজকরেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং জননেত্রী শেখহাসিনার দুস্থ মানবতার প্রতি তার যে পরিশ্রম; তাদেরযে অহর্নিশি রক্ষা করার চেষ্টা;এই চেষ্টাকেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা অনুসরণীয় অনুকরণীয়হিসাবে নিয়েছে।

তিনি বলেন, বিপদ কাটবে, শ্রাবণ মাস চলছে। ভাদ্রেঅবশ্য আরেকটা চাপ আসার কথা। এটা আমাদেরনেত্রী বলেছেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো, ভাদ্রের সেই ঠেলা যেন আর না আসে। এই শ্রাবণেরউপর দিয়েই এটা চলে যায়।

এই বিদ্যামানপরিস্থিতিতে এই পানির ভিতরের জনজীবনকেস্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরনেত্রী অতন্দ্র প্রহরীর মতো শুধু পাহারা দিচ্ছেন তানয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। আমরা আছি, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা চিরদিনেই এগিয়েগেছি, দেশ এগিয়ে গেছে, আমরা এগিয়ে যাবো।আমরা জাগ্রত আছি, সক্রিয় আছি। বসে বসেতাঁমাশা দেখছি না, সক্রিয় আছি এবং আর্তমানবতার প্রতি আমাদের কর্তব্য পালনে জন্য ব্রতীআছি।

অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরাএখন একটি নতুন পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হয়েছি।একদিকে করোনাকালীন সময়, আরেকদিকে বন্যাকবলিত এলাকা। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, দেশেরএকটি বিশাল অঞ্চল, আমরা বসে নেই। আমরাএকমাত্র রাজনৈতিক দল যারা এই করোনার ভয়কেজয় করে এই বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থেকেদাঁড়ানো শুরু করে ধানকাটার মহোৎসবও কাজকরেছি।

আমরা বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিদিনযোগাযোগ করছি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেইশুধু যোগাযোগ করছি না, আমাদের দলের সঙ্গেযোগাযোগ রাখছি। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষেরাঈদ উদযাপন করতে পারছেন না, আমরা তাদেরপ্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা দোয়া করি, যাতেউজানের পানি অচিরেই নেমে যায় এবং তাদের কষ্টলাঘব হয়।
বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *