খুন করার উদ্দেশ্যে রাজাপুরে কায়েদ হুজুরের জামাতার বাড়িতে ডুকেছে ডাকাতদল

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে কায়েদ ছাহেব হুজুরের জামাতার বাড়িতে ডাকাতি নয় খুন করাই ছিল উদ্দেশ্য ! এমন অভিমত ব্যক্ত করে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় ফেইসবুকে লাইফ এসে এবং আজ বুধবার নিজ ওয়ালে পোস্ট দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন কায়েদ ছাহেব হুজুরের নাতি আলহাজ্ব মাওলানা মুজাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুরের ছোট ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ড. ফাইজুল হক।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ঝালকাঠির রাজাপুরে কায়েদ ছাহেব হুজুরের জামাতা রাজাপুরী হুজুরকে মারধর, দালানের দরজা ভেঙে কোরবানির গরু কেনার ৫ লাখ টাকা ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিলো।
ঝালকাঠির রাজাপুরের পশ্চিম চাড়াখালি আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসার পেছনে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কায়েদ ছাহেব হুজুরের মেয়ের ঘরের দরজা ভেঙে একদল দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করে।

কায়েদ ছাহেব হুজুরের জামাতা আলহাজ্ব মাওলানা মুজাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুরকে দুষ্কৃতকারীরা মারধর করে আহত করেছে। সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে মুজাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুরের ছেলে পশ্চিম চাড়াখালি আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল হক জানান, রাত সোয়া ২ টার পর ভবনের প্রবেশের মূল দরজা সংলগ্ন ডান পাশের দরজার ছিটকানী ভেঙে ৫ জনের অধিক ডাকাত দল ভেতরে প্রবেশ করে মুজাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুরের কক্ষের দরজারে ছিটকানী ভেঙে প্রবেশ করে।

ডাকাতদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে মুজাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুরের মুখে গামছা ডুকিয়ে তাকে মারধর ও হাত-পা বেধে ফেলার চেষ্টার সময় তিনি চিৎকার শুরু করেন। একই সময় ভবনের বাম পাশের কক্ষটিরও দরজা ভেঙে রুমের লোকজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে।

বেধে ফেলার চেষ্টার সময় হঠাৎ জাম্মেলুল হক রাজাপুরী হুজুর স্ব জোরে চিৎকার দিয়ে বলেন তাকে মেরে ফেলা হলো বাচাও; চিৎকার শুনে দ্বিতীয় তলায় ঘুমে থাকা অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল হকের ঘুম ভেঙে যায় এবং তিনিও চিৎকার শুরু করে সাইজ করা কাঠের গুঁড়া নিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচের দিকে নামা শুরু করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতদের খবর তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানালে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্শন করে। অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল হক আরও জানান, প্রতি বছরে ন্যায় এ বছরের পরিবারসহ কয়েক দফার কোরবানির গরু কেনার জন্য ২৭ জুলাই ভান্ডারিয়ার ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বাড়িতে আছে।

এ টাকা লুটকরে নেয়ার জন্য ডাকাতরা হানা দেয়, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ডাকাতরা ব্যর্থ হয়। হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের ছেলে আলহাজ্ব হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান সকালে এ বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু গভীরভাবে পর্যালোচনা করে ভুক্তভোগীদের কাছে স্পষ্ট হয় যে, ডাকাতি নয় খুন করাই ছিল উদ্দেশ্য।

কারন হিসেবে ড. ফাইজুল হক জানান, “ডাকাতি করতে এলে সোনার গহনা ও টাকা লুট করে নিয়ে যেত কিন্তু তারা সেটা করেনি। এতে আমাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *