আবু ইউসুফ মিন্টু :
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত সেবিকাদের ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতক মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করছেন। বর্তমানে ওই নবজাতক ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নবজাতকের পিতা মাদ্রাসা শিক্ষক মামুন উদ্দিন ওই সেবিকার শাস্তির দাবি করে এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে সোমবার (৬জুলাই) পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মামুন উদ্দিন তার লিখিত অভিযোগে জানান তাঁর স্ত্রী মিনা আক্তার এর প্রসব ব্যাথা উঠলে গত ২৯ জুন সোমবার ভোরে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় । এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত নার্স ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে তাঁর স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি করবে বলে আশ্বাস দেন।
মামুন উদ্দিন অভিযোগ করেন তার দেয়া টাক্য়া নাস্তা শেষে নার্স সালমা, পলি ও হাজেরা সহ অন্যান্যরা তাঁর স্ত্রী নরমাল ডেলিভারি করার জন্য ব্যার্থ চেষ্টা করে এবং পেটে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে নবজাতককে একপর্যায়ে টেনে বের করার চেষ্টা করেছে বলে মামুন অভিযোগ করেছেন। একপর্যায়ে তাঁর স্ত্রী মিনার অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ শুরু হলে তাঁর স্ত্রী চিৎকার করলে তারা দ্রুত ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।
মামুন উদ্দিন জানান তারা সকাল ৮টার দিকে ফেনীতে নিয়ে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করান । এ সময় নবজাতকের মুখ, চোখ এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। বর্তমানে ওই নবজাতক ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপরদিকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা আক্তার জানান ওই প্রসুতির গর্ভের সন্তান স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলনা ্আড়াআড়ি অবস্থায় ছিল ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় তাদেরকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরশুরাম হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি করার কোন চেষ্টা করা হয়নি। মামুনের অভিযোগ সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমূলক।
সালমা আক্তার জানান তাঁর রাতের ডিউটি ছিল ওই সময় অপর সেবিকা পলি ও হাজেরা দায়িত্বরত ছিল। এবং ডাক্তার তৌহিদুল ইসলামের অধীনে ওই রোগী ভর্তি হয়েছে বলে তিনি জানান।
পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী মো ইসমাইল জানান মামুন উদ্দিন নামের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবরে কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয় উর্ধতন কর্তপক্ষ তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন।