সোনাগাজীতে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ১০ | বাংলারদর্পন

ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে উপজেলার ভোরবাজারে এ ঘটনা ঘটে । উক্ত ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা সোনাগাজী ও ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে মহি উদ্দিন মহিমের নেতৃত্বে ২০-২৫জন ছাত্রলীগ কর্মী ভোরবাজার এলাকায় মোটর সাইকেলে মহড়া দেয় । এসময় পুর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিন চৌধুরী ও তার অনুসারী ইব্রাহীম শাকিলকে গালমন্দ করে তারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিন তার সহযোগীদের নিয়ে মহিম গ্রুপের ওপর হামলা চালায় । উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

চেয়ারম্যানপুত্র মহিম বাংলারদর্পনকে বলেন , কারামুক্তির পর ভোরবাজারে নানুর কবর জিয়ারত করতে গেলে পুর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক রুবেল ও ছাত্রলীগ নেতা রবিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে । তাদের চুরিকাঘাতে আমি (মহিম), আমার সাথে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদুল হক কাওছার(২১), নুরুল ইসলাম রাসেল (২২), আজিজ মুন্না (২৩) ও বাদশা ফাহাদ(২০) মারাত্বক জখম হয়। এ ঘটনায় মহিম বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিনকে প্রধান আসামী করে ১৭জনের নামে থানায় মামলা দেন।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিন চৌধুরী বাংলারদর্পনকে বলেন , চেয়ারম্যানপুত্র মহিম ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কিছুদিন পুর্বে ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহীম শাকিলকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সে বর্তমানে বাড়ীতে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে হামলা করে চেয়ারম্যানপুত্র মহিম ও সহযোগীরা। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ভোরবাজারে হামলা , ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় রবিন ।

ভোরবাজার বনিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বাংলারদর্পনকে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাজারের রানা বেকারী, রুবেল লাইটিং ও বেলাল কনফেকশনারীতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় । এ সময় জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি শেখ মাসুদ ও রানা বেকারীর মালিক শিপনসহ কয়েকজনকে মারধর করে চেয়ারম্যানপুত্র মহিম।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম পলাশ বাংলারদর্পনকে জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহার নামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *