শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা :
ঘূর্নিঝড় আম্পানে খুলনার কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘাটাখালি বিধ্বস্থ বেঁড়িবাঁধ আবারও অরক্ষিত হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে লবণ পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। ফলে কয়রা সদরের অফিস আদালতসহ গোটা এলাকা আবারো লবন পানিতে প্লাবীত হয়েছে।
জানাযায়,মঙ্গলবার স্থানীয় মেম্বার আঃ গফফারের উস্কানিতে ঘাটাখালি ও গোবরা গ্রামের একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও ২ জন মেম্বারকে লাঞ্চিত এবং স্থানীয় মহিলা মেম্বারের স্বামী রফিক সিরাজকে মারপিট করে আহত করে ।
এ ব্যাপারে রফিক সিরাজের বড় ভাই শামসুদ্দীন সানা বাদী হয়ে সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ঢালী সহ ১২ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করে।
পুলিশ রাতেই মেম্বার আব্দুল গফফার ও তার পুত্র উপজেলা বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিনকে আটক করে । এ কারণে বুধবার থেকে বাঁধের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রিং বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে দ্রুত গতিতে লবণ পানি ঢুকছে ভিতরে এবং বুধবার রাতে উপজেলা সদর সহ ৮ টি গ্রাম আবারও লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে মহিলা মেম্বারের স্বামী আহত রফিক সিরাজকে ঘটনার পরই জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং তার বুকের হাড় চুটেছে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
অপর দিকে ইসহাক আলী নামের এক সন্ত্রাসী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর কে প্রাণ নাশের হুমকীসহ তাকে লাঞ্চিত করার চেষ্টার কারনে চেয়ারম্যান কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এবিষয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ১০ কেজি চাউলের বিনিময়ে রিং বাঁধে সংস্কার কাজ দেখতে ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ ও আঃ রবকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটাখালি বাঁধে গেলে স্থানীয় গফফার মেম্বর ও তার সহযোগিরা মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং আমাকে নিয়ে অশ্লীল কথাবর্তা বলেন। এসময় আমি বাঁধের পাশ থেকে সরে যাই এবং পিছনে ফিরে দেখি মহিলা মেম্বরের স্বামীকে গফফার মেম্বরের নির্দেশে দুদু, খালেক, ইসহাকসহ ৭,৮ জন পানিতে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, রফিক সিরাজ সরকারি ১০ কেজি চাউল দিতে মাষ্টাররোল বানাতে বাঁধে শ্রমিকের সংখ্যা গনণা করে ৫২৩ জন খুজে পায়। কিন্তু গফফার মেম্বারের ছেলে হেলাল ও দুদু বাঁধে ৮০০ লোক কাজ করছে বলে জানায় এবং রফিক সিরাজের ওই তালিকা বাদ দিতে বলেন।
তবে রফিক সঠিক তালিকা ছিড়ে না ফেলায় গফফার মেম্বাররের নির্দেশে তার লোকজন তাকে মারপিট করেন। যে কারনে এলাকার সাধারণ মানুষ গফফার মেম্বরের ভয়ে বাঁধে কাজ করতে না যাওয়ায় বাঁধ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। তবে স্থানীয় সামান্য সংখ্যক মানুষ বাধ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য ঘাটাখালি বেঁড়িবাঁধ এখন অরক্ষিত হওয়ায় গোটা এলাকা আবারো প্লাবিত হয়েছে। এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলারদর্পন