প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে “বন্দে ভারত মিশন” প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটির সরকার। চাকরি, পড়াশোনা, পর্যটন ও ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে এসব নাগরিকরা আটকা পড়ে আছেন বাংলাদেশে। যাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরী পরিস্থিতি বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে সফর অনিবার্য বলে মনে করছে ভারত।
বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ৮ মে ২০২০ থেকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি ফ্লাইট ভারতীয় নাগরিকদের শ্রীনগর (৮, ১২ ও ১৩ মে), দিল্লী (৯ ও ১১ মে), মুম্বাই (১০ মে) এবং চেন্নাই (১৪ মে) নিয়ে যাবে।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রথম ফ্লাইটে ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রীনগরে ফিরিয়ে নেয়া হবে। প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী বহন করা হবে। এসব শিক্ষার্থীদের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় হাই কমিশন।
শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট পর্যবেক্ষণ করেন সময় ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ। বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তিনি প্রথম ফ্লাইটকে বিদায় জানান। এসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে হাই কমিশনার বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের কল্যাণে ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে বন্দে ভারত মিশন কার্যক্রম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ রাজ্যের নোডাল অফিসারদের নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাংলারদর্পন