মিরসরাই প্রতিনিধি :
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হওয়া ও অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা জনপ্রতিনিধি ও জনপ্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে সহায়তা করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। সরকারীভাবে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হলেও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা সুরক্ষা সামগ্রী ও কোনরুপ প্রণোদনা ছাড়া সেবা দিয়ে যাচ্ছেন আগের নিয়মে।
জানা গেছে, করোনা আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মহীন, অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি, মাষ্টার রোল তৈরি, জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান, প্রচার- প্রচারণাসহ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলেও মহামারি করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই চট্টগ্রাম জেলার ১৯০ ইউনিয়নের উদ্যোক্তারা এসব কাজ করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিপু বলেন, আমাদের কোন প্রকার বেতন
ভাতা না থাকলেও করোনা মহামারীতে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। আমরা যাতে ঝুঁকিহীন ও নিরাপদে কাজ করতে পারি
তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম জেলা ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি মিরসরাইয়ের মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জাহেদ হোসেন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ২০১০ সাল থেকে কাজ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে উদ্যোক্তাদের তার ডিজিটাল সন্তান হিসেবে আখ্যা দেন। বর্তমান করোনা মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোক্তারাও সরকারের নির্দেশনা পালন করছে। তিনি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।