শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমান গরিব মানুষের চাল উদ্ধার করেছে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ সময় চাল চোর চত্রেুর সদস্যরা অভিনব কৌশলে আলামত নষ্টের জন্য চালের বস্তা পুড়িয়ে ফেলে। এঘটনায় র্যাব একজনকে আটক করে। বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা এ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চাল উদ্ধার করে।
র্যাব সদস্যরা মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর ইউনিয়নের রাঙ্গুরিয়া গ্রামের গোনেন্দ্র কান্তি রায়ের ছেলে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের ভৈরবগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নপুর কান্তি রায়ের বাড়িতে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে র্যাব সদস্যরা বিপুল পরিমানে ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি চাল উদ্ধার করে। এসময় নপুর কান্তি রায়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কালাপুর ইউনিয়নের ভৈরবগঞ্জ বাজারের শাহজালাল মাকের্টের পেছন থেকে ৪০টি খালি বস্তা ও আগুনে পুড়ানো বস্তার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কমান্ডার আনোয়ার হোসেন জানান, আটক নপুর কান্তি রায় র্যাবকে জানিয়েছেন তিনি কালাপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের সরকারি চালের ডিলার আনোয়ার হোসেন কাছ থেকে বেশ কয়েক বস্তা চাল কিনেছেন।
র্যাব কমান্ডার জানান, ভৈরবগঞ্জ বাজারের একটি ভাগার থেকে ‘ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ খোচিত বিপুল পরিমান পোড়া, অর্ধ পোড়া ও পোড়া বস্তার ছাই পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এসব চাল গরিবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার। সেই গরিবের চাল চুরি করে বিক্রির চেষ্টা করার গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করি। আটক নপুরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ব্যাপারে ডিলার আনোয়ার হোসেন তার অফিসের পেছন থেকে এতোখালি ও পোড়া বস্তা উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ, সাংবাদিকসহ তন্ন তন্ন করে সবকিছু খোঁজেছে কিন্তু কিছুই পায়নি।
সামনে তিনি চেয়ারম্যান ইলেকশন করবেন, তার শত্রু পক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য এমন কাজ করে থাকতে পারে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল পুলিশি অভিযানে ৫ বস্তা একই কর্মসূচির চাল উদ্ধার হয় এই কালাপুর ইউনিয়ন থেকে এবং এ ব্যাপারে ৩ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের হলে দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বাংলারদর্পন