সৈয়দ মনির আহমদ, ফেনী:
ফেনীর উপকুলীয় উপজেলা সোনাগাজীর তিনটি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহন চলছে। উপকুলীয় অঞ্চলের লায়েক পতিত জমির চেয়ে কৃষি ও বসতভিটার প্রতি কোম্পানী গুলোর লালসা বেশি। যদিও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকবান্ধব নেত্রী শেখ হাসিনা বার বার কৃষি জমি ও বসতভিটা উচ্ছেদের জন্য নিষেধ করেছেন। ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, কৃষি জমি ও বসতভিটা রক্ষার জন্য স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগণ সভা-সমিতি এবং ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সংশ্লিস্ট দপ্তরে আবেদন ও আন্দোলন করলেও কোন কিছুতেই ঘুম ভাঙছে না জনবিচ্ছিন্ন জনপ্রতিনিধিদের।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ ও খোন্দকার, চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ছান্দিয়া ও পূর্ব বড়ধলি মৌজায় গত ৪০ বছর ধরে বসতভিটা গড়ে উঠেছে। বসতভিটার আশপাশে কৃষি ও ফসলি জমি। এসব মৌজায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে। তাছাড়া চর এলেন, বাহির চর, চর নাসরিন, থাক খোয়াজের লামছি, দক্ষিণ চর খোন্দকার মৌজায় নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। বসতভিটা রক্ষার্থে এবং অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত ভুমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন সোনাগাজী ভুমি মালিক, কৃষক ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন-বিআইডিসি।
ইতিমধ্যে তারা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, ফেনী জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিস্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া চর খোন্দকার, দক্ষিন চর ছান্দিয়া ও সোনাগাজী জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন করেছে সোনাগাজী ভুমি মালিক ও কৃষক ঐক্য পরিষদ।
ভুমি মালিক ও কৃষক ঐক্য পরিষদ’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, কৃষকবান্ধব নেত্রী শেখ হাসিনা বার বার কৃষি জমি ও বসতভিটা উচ্ছেদের জন্য নিষেধ করেছেন। স্থানীয়ভাবে সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছেনা। চর খোন্দকার, দক্ষিণ চর ছান্দিয়া, পূর্ব বড়ধলি ও চর রাম নারায়ন, দক্ষিণ চর খোন্দকার মৌজায় বাসতভিটা ও কৃষি জমি উচ্ছেদের পায়তারা হচ্ছে। চর এলেন, দক্ষিণ চর খোন্দকার, বাহির চর, চর নাসরিন, থাক খোয়াজের লামছি মৌজায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেনা। চর এলেন মৌজায় প্রতি শতাংশ মাত্র সাড়ে তিনশ টাকায় এবং অন্যান্য মৌজায় নামমাত্র মুল্যে অধিগ্রহন করা হচ্ছে।
বিআইডিসি’র সোনাগাজী উপজেলা সভাপতি নুর আলম মিস্টার বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদে বিআইডিসি’র উন্নয়ন সভা হওয়ার পর ভোরের কাগজসহ সকল জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পরও আমাদের কৃষক ও ভূমি মালিকদের এসব হাহাকার বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন জনপ্রতিনিধিদের নজরে পড়েনা। বার বার সংশ্লিস্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও তারা কেউ তন্দ্রায় কেউ নিদ্রায়। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারনে আমরা সোনাগাজীবাসী সবসময় অবহেলিত। আমরা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।