যুদ্ধকালে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নানান অপকর্মের হোতা বুলবুলের বিচার দাবি

যুদ্ধকালে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নানান অপকর্মের হোতা বুলবুলের বিচার দাবি
ফেনী প্রতিনিধি: সোনাগাজী উপজেলার ভোয়াগ গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ীর তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের পুত্র, রাজাকার আবদুল আহাদ প্রকাশ গোলাম আহাদ বুলবুলের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে নিরীহ মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহ নানান অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন- ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো।

আবদুল আহাদ বুলবুল (প্রকাশ- রাজাকার বুলবুল, গোলাম আহাদ বুলবুল) সোনাগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৈরী করা রাজাকারের তালিকায় ১৩৬ নং ক্রমিক ও ফেনী জেলার তালিকায় ৩৫৯ নং ক্রমিকে যার নাম রয়েছে ।

ভুক্তভূগী ছালেহা খাতুন বলেন- ২০/০৮/১৯৭১ ইং, (৫ ভাদ্র ১৩৭৮ বাংলা) রোজ শুক্রবার বিকেল ৪টায়, মহান মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে তার স্বামী আবদুর রবকে রাজাকার বুলবুলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ রাজাকাররা বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে যান এবং মতিগঞ্জ সি.ও অফিস সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে রাজাকার ক্যাম্পের সন্নিকটে গুলি করে হত্যা করে।

ভোয়াগ গ্রামের হজু মিয়াজি বাড়ীর জোহরা বেগম জানান, তার স্বামী নুর করিম ও শশুর আবদুল কুদ্দুসকে রাজাকার বুলবুল ও তার সঙ্গীয় রাজাকাররা বাংলা ১৩ আশ্বিন সকাল বেলা তাদের বাড়ীতে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে

মনু খোনার বাড়ীর হাজী আবদুল ওয়াহাব, পাটোয়ারী বাড়ীর নুরুল আমিন, আবদুল মিঝি বাড়ীর সোলেমান নবী, হজু মিয়াজী বাড়ীর বদরের নেছা (প্রকাশ- কাঞ্চু মেম্বার) সহ এলাকার লোকজন জানান- রাজাকার বুলবুল এলাকার বহু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করেছেন, তিনি সংঘবদ্ধ রাজাকারদের নিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহ নানান অপকর্ম করেছেন।

রাজাকারদের হাতে নিহত নুর করিমের ছেলে আবদুল কাদের তার পিতার হত্যাকারী রাজাকার বুলবুল ও তার সহচরদের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।

সোনাগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার এম শাহজাহান বলেন- যুদ্ধকালীন সময়ে তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান রাজ্জাক ও তার দুই ছেলে বুলবুল ও মানিক মতিগঞ্জ এবং আশপাশের এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর সহায়তায় নিরীহ মানুষ হত্যা ,ধর্ষন ও নানান অপকর্ম করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *