মোহ-মায়া

মোহ-মায়া

জাহাঙ্গীর ফিরোজ

————–
জীবনের দিন-মান-ক্ষণ চলে যায় বিরতিহীন,
ঘটে ঘাত-প্রতিঘাত, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা অন্তহীন

অতীতের দিনগুলি মানসপটে হয় বিলীন।
তোমার দেয়া মধুর স্মৃতিগুলো হয় না মলিন।

গ্রামের স্কুলে ছিলে তুমি মোর সহপাঠিনী।
হয়ে গেল কিশোর-কিশোরীর প্রেম-কাহিনী।

দশম শ্রেণীতে যেতেই বেজে উঠলো তোমার বিয়ের সানাই,
গভীর বিরহ-বেদনা নিয়েই সেদিন তোমাকে হারাই

জীবন চলার পথে আনমনে খুঁজেছি তোমায়,
মনে মনে চাইতাম তোমার সাথে যেন দেখা হয়ে যায়।

সোনার হরিণের পিছু নিয়ে চলে এলেম বিলেতে,
এ জীবনে কি আর দেখা হবে সখী! তোমাতে আমাতে!

আজও কি তুমি অপেক্ষা করো বসে জানালার পাশে।
সুদূরে দৃষ্টি মেলে চেয়ে থাক আমার আশে।

এখনও কি মনে পড়ে
মেঠো পথে স্কুলে যাওয়ার স্মৃতি,
গরুর গাড়ি দেখে ভীত হয়ে আমার হাত ধরার অনুভূতি

আজও কি পড়ে মনে জ্যোৎস্না রাতে নির্জনে হাত ধরে চলার কথা।
এতো বছর পরও জানা হলোনা তোমার মনের গোপন বারতা।

দিনের শেষে ক্লান্ত দেহটি যখন ঝিমিয়ে পড়ে বিছানায়,
যখনই দু’টি চোখ আবিষ্ট হয় গভীর সুখ-নিদ্রায়

স্বপ্নলোকে দাও তুমি কোমল স্পর্শ, মায়ায় ভরা,
সেই স্নিগ্ধ-কোমল স্পর্শে হই আমি আত্মহারা

চমকে উঠে পাই না তোমায়, হে মোহমায়া।
দু’নয়ন ভরে অশ্রু জলে নেই কোন তোমার ছায়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *