রামগতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১: থানায় মামলা | বাংলারদর্পন

লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন, দক্ষিণ টুমচর, ৪ নং ওয়ার্ডে গতকাল সকাল ৯ ঘটিকার সময় পৈতৃক সূত্রে দখলদার নুর উদ্দিন ও হুমায়ুন কবিরের বসত বাড়ির স্থাপনার জায়গা ঘেষে অবৈধ ভাবে মহিউদ্দিন ও তার দলবল ডিপটিউভয়েল নির্মাণ করার সময়ে স্থাপনার মালিক নুর উদ্দিন গিয়ে জানতে চাই, কেন আমাদের স্থাপনার গাছপালা কাটা হয়েছে, গর্ত করা হয়েছে আমাদেরকে না জানিয়ে।

এসময়ে গ্রাম্য ডাক্তার মহি উদ্দিন (৬৫) ও তার পুত্র গ্রাম্য ডাক্তার বাবলু (৪৭)
নুর উদ্দিন কে মারধর করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঠোঁট কেটে দেয়, গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময়ে মহি উদ্দিনের মেজ ছেলে বিডিআর বিদ্রোহের সাজা প্রাপ্ত আসামি ফজলে আজীম বাকের ও বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলায় সমর্থন যুগিয়েছেন মাত্র।

স্থানীয় লোকজন ও আহত নূরউদ্দিনের স্ত্রী এগিয়ে এসে নুর উদ্দিন কে রক্ষাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে নুর উদ্দিন চিকিৎসাধীন আছে।

এই মর্মে রামগতি থানায় একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যার SDR নং : ৭৪৩/১৯
তদন্ত কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বাবলুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন ঘটনা তেমনকিছু ঘটেনি শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।

গত ২২/০৭/২০১৮ ইং তারিখে মহিউদ্দিন ও তার মেজ ছেলে বিডিআর বিদ্রোহের সাজা প্রাপ্ত আসামী ফজলে আজীম বাকের ও তার লোকজন নিয়ে একই কায়দার হামলা করে বসতবাড়ির মালামাল নষ্ট করে। এই মর্মে রামগতি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা আছে।

গতকাল ফের আবার ২য় ধপা হামলা চালিয়েছে মহি উদ্দিনরা। এলাকা সূত্রে জানা যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বহুবার সালিশ -বিচার হয়েছে । স্থানীয় সবেরের ছেলে মাইনউদ্দিন কে কিছুদিন আগে বেধড়ক পিটিয়েছে বাবলু ও বাকের। ফৌজদারি অপরাধ হলেও সালিসি বৈঠকে মহিউদ্দিন সেটা মিটমাট করে ফেলেন।

ছোট ছেলে রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে কাজের মেয়ের সাথে। টাকা পয়সা, হুমকি দামকি দিয়ে সেটাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

অভিযোগ আছে মাত্র কয়েকদিন আগে মহিউদ্দিনের ছোট ছেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী সবেরের মেয়ে ছলেখা বেগমের একটি ছাগল আচার দিয়ে মেরে ফেলে।

প্রতিবেশীর সাথে বিবাদে জড়ানো সহ জমি কব্জা করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এই পরিবারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আছে বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম রামগতি এজি অফিসে থাকতে ঘুষ নিয়ে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করার। একবার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ঢাকা থেকে হাতিয়ায় টান্সফার করা হয়। বর্তমানে জহিরুল ইসলাম চাকরি থেকে অবসর দিলেও দুর্নীতির দায়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

একেরপর এক এরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বলে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবী করছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *