জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর:
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার পুরাতন মুন্সীরহাটস্থ দরবারপুর ইউপি কার্যালয়ের বাঁয়ে ফেনী- বিলোনীয়া রেলপথের উপর গড়ে উঠা বস্তিটি যেন মাদক বেচা -কেনার রমরমা হাট।
১৯৯৭ সালে লোকসানের কারণে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে স্থায়ীভাবে এই আলোচিত বস্তির উত্থান হয়।প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এখানে মাঝে-মধ্যে মাদক কারবারিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়না।
এই বস্তির চৌহদ্দির পূর্ব পাশে অবস্থিত ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কের কারণে মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারিরা যানবাহনে যাতায়াতের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।কারণ বস্তির অদূরে বাস স্ট্যান্ড থাকায় কারো বোঝার উপায় নেই অপরাধীরা কোথায় যায়। এছাড়া বস্তির দক্ষিণে মুন্সীরহাট বাজারে আগত ক্রেতা- বিক্রেতাদের সাথে এই অপরাধ জগতের লোকজন মিশে গেলে তাদের সনাক্তকরণে প্রশাসনের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
জানা গেছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কিংবা ফেনী শহর সহ দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দর পোশাক পরিধান করে এসব অপরাধীরা অসৎ উদ্দেশ্যে মুলতঃ মুন্সীরহাটের এই বস্তিতে আগমন করে।স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনে অপরাধের এই স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেেছে বলে মনে করে অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপকালে বলেন,দরবারপুর ইউপির সাথে রেলের জমিতে গড়ে উঠা এই বস্তিতে নিত্যনৈমত্তিক প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজ করার ফলে এই পথে ধরে স্থানীয় ভদ্রলোকদের চলাফেরা সীমিত।তারা বলেন, আলোচিত ,বস্তির সন্নিকটে দরবারপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয় অবস্থিত।
বস্তিটিতে মাদক কারবারি হিসেবে কথিত এক নারীর নামও আলাপকালে উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই বস্তিতে সকাল হতে মধ্যরাত পর্যন্ত মাদকের বেচাকেনা চলে।স্থানীয় তথাকথিত ভদ্রবেশী কিছু ব্যাক্তি ও অল্প বয়সী কতিপয় ছেলে মাদক বেচা-কেনায় স্পাই হিসেবে কাজ করে।দূর-দূরান্ত থেকে আগত স্কুল -কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাড়াও যুব সমাজের একাংশ এই মাদক হাটের ক্রেতা।
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও অভিজ্ঞজনরা মনে করে, এলাকার যুব সমাজ ও জনগণকে মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য রেলের জমিতে গড়ে উঠা আলোচিত এই বস্তি উচ্ছেদের বিকল্প নেই।ফেনী জেলা ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।