স্ত্রীর সহযোগীতায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ | বাংলারদর্পন

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:

রামগড়ের  নোয়াপাড়ার (খাগড়াবিল) ৮ম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রী তার পিতার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসী মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসলে, পুলিশের কাছে পিতার হাতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে মেয়েটি আরো বলেন ধর্ষণ করতে পিতাকে সহযোগিতা করতো তারই মা।

 

অভিযোগকারী মেয়েটি বলেন, তার পিতা আবুল কাশেম (৪৩) গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। একইভাবে আরো ২/৩ বার পিতার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় সে। পিতার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে কাকুতি মিনতি করেও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি সে। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করতে গেলে সে তার বাবাকে বলে কালকে আমার কোরআন মজিদ পরীক্ষা। আমার সাথে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। এতকিছুর পরও মেয়েটিকে পাষন্ড পিতা আবারও ধর্ষণ করে।

মেয়েটি জানায়, সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তায়ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলারও ভয়ভীতি দেখাতো তার পিতা। মেয়েটি আরো জানায়, ঘটনাটি প্রথমে তার দাদীকে বলেন। কিন্তু দাদী কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় কাছ গত ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে জানান।

 

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল হান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়েটির চাচা ওমর ফারুক ঘটনাটি সমাজের সভাপতিকে জানালে তারা মেয়ের মুখে অভিযোগটি শুনেন। মেয়ের মাও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন তাদের কাছে। পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসেন তারা।

 

রামগড় থানার ওসি (তদন্ত) মো: মনির হোসেন বাংলারদর্পনকে বলেন, মেয়ে ও তার মাকে আলাদাভাবে এবং সামনা-সামনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি একাধিকবার তার পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন এবং মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার এবং মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ঘটনা প্রকাশের পর হতে অভিযুক্ত পাসান্ড পিতা পালাতক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *