নিউজ ডেস্কঃ
৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ভিকারুননিসার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হতে চেয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া দুদকের উপপরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের স্ত্রী রুমানা শাহীন শেফা। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
খন্দকার এনামুল বাছিরকে বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ ওঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
৩০ নম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় সাড়ে তিন পেলেও ভিকারুননিসার পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবিরের যোগসাজশে অধ্যক্ষ হতে চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ওই নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হরেও, সেই প্রতিবেদন এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
জানা যায়, বাছিরের স্ত্রীকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভিকারুননিসার গভর্নিং বডি একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করে। এতে গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমান, মাউশির পরিচালক (কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরাও ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল সকালে লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১৫ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। মোট ১০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়, যিনি লিখিত পরীক্ষায় মাত্র সাড়ে ৩ নম্বর পেয়েছেন। তবে মৌখিক পরীক্ষায় ও একাডেমিক পারফরমেন্সের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষায় প্রথম করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, পরীক্ষার দিন বিকেলে গভর্নিং বডির বৈঠকে সদস্য অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ সব প্রার্থীর পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর জানতে চান। ওই সদস্য জানান, লিখিত পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছে আমি জানতে চাই। কে কত নম্বর পেয়েছে তা গভর্নিং বডির অন্য সদস্যদের জানাতে গড়িমসি করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর কে কত নম্বর পেয়েছে তা জানানো হয়। দেখা গেছে, সবাই ফেল করেছে। এই সদস্য বলেন, সবাই যেহেতু পরীক্ষায় ফেল করেছে এ কারণে আমাকে খাতা ও নম্বর দেখাতে চাইছিল না।
জানা যায়, লিখিত পরীক্ষায় ফেল করলেও মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি।