বাবা অসুস্থ্য :মায়ের মুখে হাসি দেখতে কারখানায় চাকুরি নিয়েছি

বাংলার দর্পন ডটকম : ঢাকায় কর্মরত কারখানা শ্রমিকের গল্প।

“এইটাই আমার কারখানা, এইটাই আমার ঘর। রাতের বেলা এইখানেই বিছানা পেতে ঘুমাই। কেমন করে যেন দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেলো। আমার মালিকের গ্রামেই আমার বাড়ি। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই বোন আছে। কিন্ত আব্বা অসুস্থ বলে কাজ করতে পারেনা এক বছর ধরে। তাই মালিকের সাথে এইখানে কাজের জন্য ঢাকায় আসি গত বছর।

 

এইখানে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ আছে, কাজের ফাঁকে ওদের সাথে কথা বলি। মন খারাপ থাকলেও ওদের সাথে গল্প করেই সময় কাটাই। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হতো, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। শুধু একটা ব্যাপারে এখনো অভ্যাস করতে পারিনাই। মা’কে ছেড়ে থাকার ব্যাপারটা। মায়ের রান্না খুব মনে পড়ে খাওয়ার সময়। এইখানে ভাত, ডাল সবজি, মাছ যাই খাই মনে হয় আম্মার হাতের ভর্তা কিংবা সবজি দিয়েও এর চাইতে বেশি মজা করে খেতে পারতাম। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে ফোনে আম্মার সাথে কথা বলার সময়। একটা বছর হয়ে গেলো, এখনো আম্মার সাথে কথা বলতে গেলেই কণ্ঠস্বর জড়িয়ে যায়, চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। যখনই স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করি, অন্যপারের গলাও যে আমার মতোই ধরে এসেছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়। কিন্তু কি আর করা যাবে! সবার তো আর সব ভাগ্য হয়না!” – একটি ছোট সুতো তৈরি কারখানায় নিযুক্ত একজন তরুণ বালক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *