নিউজ ডেস্কঃ
মোহাম্মদ আলী, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। দল বদল আর দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে টিকে থাকা এক আওয়ামী লীগ নেতা।ভূমিহীন সেজে সরকারি খাস জমি নিজের এবং পরিবারের নামে বন্দোবস্ত নেওয়া মোহাম্মদ আলী ঠিক কত টাকার মালিক, তার অনুসন্ধান এখনও শেষ করতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অনুসন্ধানে মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী, হাতিয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, তিন সন্তান ও দুই শ্যালকের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে।
একটি পৌরসভা (হাতিয়া) ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৬ আসন। হাতিয়া দ্বীপের তমরুদ্দিন ঘাট থেকে জাহাজমারা চর, আর নিঝুম দ্বীপের মৌলভীচর, কমলাদীঘি থেকে সূর্যমুখী পর্যন্ত মোহাম্মদ আলীর রয়েছে অঢেল সম্পদ, প্রভাব আর প্রতিপত্তি। তিনটি হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ আলী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তার সন্তানরা ব্যবসা করেন এবং তাদের সবার ইনকাম ট্যাক্স ফাইলও আছে বলে জানান তিনি।
গত ৫ মে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, বনভূমি দখল, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নেতৃত্ব দেন দুদক উপপরিচালক সেলিনা আক্তার মনি। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন— সহকারী পরিচালক সিফাত উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক শিহাব সালাম। এর আগে ২৮ এপ্রিল তাকে তলবি নোটিশ পাঠানো হয়।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিষয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এখন প্রাপ্ত তথ্যের পর্যালোচনা চলছে। শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।