সোনাগাজীতে মৎস্য প্রকল্প দখলের পায়তারা, মালিকের ওপর হামলা ও মাছ লুটের অভিযোগ

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর ছান্দিয়ার ১০০/৯১নং মৌজায় ২০১০ সালে আবদুল খালেক গং এর সাথে এনামুল হক ৫৫শতক ভুমি লিখিত এওজ করেন। ওই সময় এওজকৃত ৫৫শতকসহ মোট ১একর ৬০শতক ভুমি খনন পুর্বক প্রকল্প করে মৎস্য চাষ করেন আবদুল খালেকের স্ত্রী নুর নাহার। উভয়ে চর ছান্দিয়া গ্রামের রব প্রাইমারী সংলগ্ন তমিজ উদ্দিন বাড়ীর বাসিন্দা। বর্তমানে উক্ত প্রকল্পে প্রায় ৪০লক্ষ টাকার মাছ রয়েছে।
জানা যায়, গত বছর এপ্রিল মাসে স্থানীয় ভুমিদস্যুদের প্ররোচনায় মৎস্য প্রকল্পে ১২শতক ভুমির দাবি করে চর ছান্দিয়া পল্লী আদালতে অভিযোগ করেন এনামুল হকের স্ত্রী নুর জাহান। ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দায়সারা রায় দিয়ে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য আদালতে প্রেরণ করেন।
এরপর গত নভেম্বরে ফেনী আদালতে ১৪৫ধারায় অভিযোগ করেন নুর জাহান। অভিযোগ সরজমিনে।তদন্ত করে ৫৫শতক ভুমি এওজ স্বর্তে নুর নাহার ও তার সন্তানরা দখলে আছেন মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সোনাগাজীর সহকারী ভূমি কমিশনার। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর মামলা খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত।
নুর নাহার জানান, মামলায় পরাজীত হয়ে নুর জাহানের ছেলে নুর আলম ও নুর মোহম্মদ’র ছেলে শাহাদাত হোসেন দফায় দফায় রাতের আঁধারে মাছ লুট করে এবং পানি চলাচলের কালভার্ট ভাংচুর করেন। মাছ লুটকালে বাধা দেয়ায় সে ও তার ছেলেদের মারধর করে নুর আলমের সহযোগী ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় গত ৯মে সোনাগাজী থানায় এবং ১২ মে ফেনী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নুর নাহার। এওজ অস্বীকার করে জমির মালিকানা দাবি করে নুর জাহান বলেন, পল্লী আদালতের রায়ে আমরা প্রকল্পে জমি পাওনা আছি।
ইউপি সদস্য মোশারেফ মিয়া বলেন, স্টাম্পে লিখিতভাবে ৯বছর আগে এওজ হয়েছে। এওজ মতে উভয় পক্ষ দখলে আছে। কিন্তু সম্প্রতি এনামুল হকের পরিবার এওজ অস্বীকার করছে।
আদালতে দায়ের কৃত মামলা তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল পারভেজ । আদালতের রায়ের অপেক্ষায় থাকার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *