হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যের ছনের ছাউনির তৈরি ঘর | বাংলারদর্পন

রতি কান্ত রায়(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা থেকে দিন-দিন হারিয়ে যাচ্ছে ছনের ছাউনির তৈরি ঘর।রুপসী-গ্রামবাংলা থেকে  কমে যাচ্ছে খরের ছাইনির ঘর। কিছুদিন অাগেও কুড়িগ্রাম জেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়,গ্রামে-গঞ্জে সেই চিরচেনা ঘরের ছনের ছাউনির প্রচন ছিল কিন্তু দিন দিন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। অাধুনিকতার উৎকর্ষতায় বর্তমানে ছনের তৈরি ঘর  বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। খুব বেশি দিন অাগের কথা নয়, যেখানে প্রতিটি গ্রামে -গঞ্জে ২-৪টি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত।কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও সেই সময়ের ছনের তৈরি ঘর নয়নে পড়ে না।
বর্তমান টিনের অত্যাধুনিক ব্যাবহারের ফলে ছনের ছাইনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হচ্ছে।তবে কুড়িগ্রাম জেলার গ্রামে-গঞ্জে মাঝে মধ্যে ২/১টি ছনের ছাউনির ঘর দেখা যায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,অাজ থেকে ২৫-৩০ বছর অাগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল।গ্রামে-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ এই ছন দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত।গরমের দিনে ঠান্ডা অার শীতের দিনে গরম,তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে।
উচ্চবৃওবানরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন ব্যাবহার করতো।সরেজমিনে গিয়ে দেথা যায় যে,ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের বাসিন্দা শ্রী লক্ষী কান্ত রায়(২৮)ও মিয়াবাড়ী(ঝাড়খোলা)শ্রী অমুল্য চন্দ্র রায়(৫৪)বলেন যে,বছর খানেক অাগেও অামাদের বাড়ীর সবকয়টি ঘর ছনের ছাউনির ছিল।
অাধুনিকতার ছোঁয়ায এখন অার অামাদের বাড়ীতে ছনের ঘর নেই।কিছুদিন অাগে ছনের ছাউনি ফেলে টিনের ছাউনি দেই।শীত ও গরমে উভয় দিনে ছনের ছাউনির ঘর বেশ অারামদায়। এছাড়াও বছর বছর ছন পরিবর্তন করতে হয়।এ কারণে অনেকে ছনের ঘরকে ঝামেলা মনে করে।একারণে ছনের ছাউনির ঘরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি।হয়তো সেই দিন অার বেশি দুরে নয়,ছনের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চির -তরে হারিয়ে যাবে।অাগামী প্রজম্ম রুপকথার গল্পে এই ঘরকে স্হান দিতে স্বাচন্দবোধ করবে।তবে অাবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্নৃতি ধরে রাখতে ২/১ ছনের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *