শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ:
‘আমরা পুলিশের লোক দরজা খুলুন’ এমন কথা জানিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে সেই যে ছেলেটাকে নিয়ে যাওয়া হলো এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি তার। আমার ছেলে কোনো ধরনের অপরাধী নয়। তারপরও আইনের চোখে সে দোষী হয়ে থাকলে তার বিচার হোক। কিন্তু আমার ছেলে কোথায় তা আমাকে জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই আকুতি জানান সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর ঝিলপাড়ার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের পত্নী ও নিখোঁজ আব্দুল হাকিমের মা মোমেনা খাতুন। এ সময় নিখোঁজ হাকিমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, ছোট ভাই আবুল কালাম ও ছেলে আলি হোসেন উপস্থিত ছিলেন। নিখোঁজ আব্দুল হাকিম একজন ইজি বাইক ব্যবসায়ী ও স্হানীয় একটি সাপ্তাহিকের বার্তা সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কারা বাড়ির দরজায় টাকা দেয়। বলে দরজা খুুলুন। আপনারা কারা জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা পুলিশের লোক। এর পর তারা আমার ছেলে আব্দুল হাকিমকে তুলে নিয়ে যায়। আমার ছেলে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এমন পরিচয় দেওয়ায় কথিত পুলিশ সদস্যরা বলেন ওসব এখন আর চলে না। তিনি বলেন ছেলেকে নিয়ে গেলেও সাদা পোশাকধারী কথিত পুলিশের চারজন সদস্য বাড়িতে বসে থাকেন। ভোরে তারা কার সঙ্গে যেনো কথা বলেন। এর পর চলে যান। এরপর থেকে আমি আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
তিনি বলেন আমি সাতক্ষীরা থানায় গিয়েছি। তারা বলছেন জানেন না। গোয়েন্দা পুলিশ গিয়েছে। তারাও বলেছেন একই কথা। সর্বশেষ র্যাবের সাথেও যোগাযোগ করেছি। তাদের ভাষাও একই। নিরুপায় হয়ে আমি সংবাদ সম্মেলন করছি।
তিনি বলেন একটি স্বাধীন দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রাতে পুলিশ পরিচয়ে কারো তুললে তারা কিন্তু কোনো দুর্র্বৃত্ত নাকি সত্যিই পুলিশের লোক তা আমার জানা নাই। আমি আবারও বলছি আব্দুল হাকিম আইনের চোখে কোনো দোষ করে থাকলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক, কিন্তু সে কোথায় আছে কেমন আছে একথা জানার অধিকার আছে আমার? বলেন মোমেনা খাতুন। তিনি বলেন আমি আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।