সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের বাঁধায় চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে আহত এক মহিলার মুত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে গোলচেরা বেগম নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট বাদারগড় গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তাফার স্ত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে নিহতের মেয়ে সুফিয়া বেগম তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ,মামলায় জসিম উদ্দিন নামক এক আসামীকে পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টায় গ্রেফতার করেছে ।, সে উপজেলার বাদারগড় গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে।, মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদরগড় গ্রামের জসিম উদ্দিন ও একই গ্রামের সুফিয়া বেগমের পরিবারের লোকজনের মধ্যে পুর্ব বিরোধের জের ধরে প্রথম দফায় বুধবার রাতে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
গত ২৮ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে ফের ওই রাতের সংঘর্ষের জের ধরে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংযর্ষ হলে উভয় পরিবারের অন্যান্য কয়েকজন আহতদের মধ্যে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া পাথরের ঢিল সুফিয়া বেগমের বিধবা মা গোলচেরা বেগমের মাথা ও চোখের ওপর পড়লে তিনিও আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে খুকি মনি ,আনোয়ার হোসেন , সুফিয়া বেগম কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
কিন্তু প্রতিপক্ষের বাঁধার মুখে আহত গোলচেরা বেগম নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় স্থানীয়ভাবে কিংবা বাহিরে গিয়েও কোন রকম চিকিৎসা নিতে না পারায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাড়িতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মামলার বাদী সুফিয়া বেগম শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, বাড়িতে থাকা আমার মা সহ অন্যান্যদের বৃহস্পতিবার সকালের পর বাড়ি থেকেই বের হতে দেয়নি, যে কারনে আমার আহত মা পাথরের ঢিলের আঘাতে মাথায় দিনভর প্রচন্ড ব্যথায় ভুগছিলেন অন্যদিকে একটি চোখে পাথরের ঢিল লাগায় চোখটি ব্যাথায় ব্যাথায় ফুলে গিয়েছিলো, কিন্তু প্রতিপক্ষের বাঁধারমুখে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়েই ওই দিন সন্ধায় আমার মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।, তিনি তার মায়ের এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
এ বাপারে উপজেলার বাদারগড় গ্রামের আবদুল আউয়াল সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার সন্ধায় বলেন, গোলচেরা বেগম বাড়িতে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কিন্তু তার পরিবারের লোকজন আমার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার শুক্রবার রাতে জানান,মহিলার লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে করে মর্গে পাঠাই। নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ১০ জনকে চিহ্নিত করে এবং আরো ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেছেন।
Related News

শ্রীমঙ্গলে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে বউ শ্বাশুড়ির মর্মান্তিক মৃত্যু | বাংলারদর্পণ
সিলেট সংবাদদাতাঃ শ্রীমঙ্গলে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে বউ শ্বাশুড়ির মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরজমিনRead More

হুন্ডি জালনোট ইয়াবা কারবারী সেই রুবেল জেলহাজতে!
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের এপার ওপারে দামী ব্রান্ডের মোটরসাইকেল চুরি করে বিক্রি করাই যার মূলRead More