মো. নাইম তালুকদার, সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাট স্কুল সংলগ্ন ১১৯৮ পিলার দিয়ে স্থানীয় কিছু চোরাকারবারীরা সীমান্ত বাহিনী বিজিবি’র চোখ ফাকিঁ দিয়ে প্রতিনিয়ত অবাদে দেশের ভেতরে নিয়ে আসছে অবৈধ ভারতীয় চোরাই কয়লা,মরণ নাশক মদ গাজাঁ হেরোইন,ইয়াবা ও নাসির বিড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী। ফলে সরকার প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সিরাজ মহালদারের ছেলে চিহিৃত চোরা কারবারী মুক্তার মহালদার,একই গ্রামের সফি মিস্ত্রির ছেলে বাবুল মিস্ত্রি ও বড়ছড়া উত্তরপাড়া এলাকার ইসহাক মিয়ার নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট চোরচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত পয়েন্টটিকে কয়লা পাচারের নিরাপদ রোড মনে করেই প্রতিদিন রাতের আধাঁরে শত শত শ্রমিক নিয়ে ট্যাকেরঘাটের ১১৯৮ পিলার দিয়ে ভারতের গাড়বাড়ি ব্রীজ্রের নীচে প্রবেশ করে ঐ সমস্ত অবৈধ কলয়া ও মরণ নাশক পণ্য দেশের ভেতরে নিয়ে আসলে ও দেখার যেন কেহ নেই।
সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে চক্রটি সীমান্ত বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে গত ১৫দিনে ৫ হাজার বস্তা অবৈধ ভারতীয় চোরাই কয়লা দেশের ভেতরে প্রবেশ করে কামিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গত ১৯ জানুয়ারী ঐ সমস্ত চিহিৃত চোরা কারবারীরা ৯ বস্তা কয়লা ভারত থেকে নির্বিঘেœ দেশের ভেতরে নিয়ে আসলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যা জেনে ও না জানার ভান করছেন।
ঐ সমস্ত চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় ওরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওরা চোরাই কয়লাই শুধু দেশের ভেতরে নিয়ে আসেনি ওরা প্রতিদিন গভীর রাতে চোরাই কয়লার পাশাপাশি মরণ নাশক ইয়াবা গাজা* হেরোইনসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছে বলে স্থানীয়দের এমন অভিযোগ রয়েছে। ঐ চক্রটি ভারতের চোরাইকৃত কয়লা দেশের ভেতরে এনে প্রতিবস্তা কয়লা আনুমানিক সাড়ে ৩ শত টাকার বিক্রি হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এবং অল্পদিনে বনে যাচ্ছেন এক একজন লাখপতি।
ঐ সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনসাধারন প্রভাবশালী চোরচক্রের ভয়ে কেহ মুখ খুলতে রাজি নন এমনকি তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রীতিমতো শংঙ্কিত। সীমান্ত এলাকায় এমন অবৈধ পণ্যসামগ্রীসহ নিষিদ্ধ ভারতীয় মরণ নাশক দ্রব্য প্রবেশে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক অনাকাংঙ্খিত ঘটনা এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার রাত ৮টায় ঐ সক্রিয় চোরচক্রটি শতাধিক শ্রমিককে ১১৯৮ পিলার দিয়ে ভারতের গাড়বাড়ির পাশে অনুপ্রবেশ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে লাকমা গ্রামের চিহিৃত চোরা কারবারী মুক্তার মহালদারের কাছে কয়লা পাচারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এই সাংবাদিক আমি কয়লা দেশের ভেতরে নিয়ে আসলে আপনার সমস্যা কোথায়। আপনি যা পারেন আমাদের বিরুদ্ধে লিখতে পারেন সমস্যা নইে।
এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড বিজিরি সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাকসুদুর আলমের কাছে সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরচক্রটি চোরাই কয়লা আসনে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের বিষয়টি জানতে তিনি বলেন আমি বিষয়টি খোজঁ নিয়ে দেখছি এবং ওদের বিরুদ্ধে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানা তিনি।