কংগ্রেস’র সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা

নিউজ ডেস্কঃ

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। গতকাল দলের এক বিবৃতিতে এ কথা ঘোষণা করা হয়।

 

প্রিয়াঙ্কার পিতামহী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কার মধ্যে অনেকেই ইন্দিরার চালচলন, কথাবার্তার মিল খুঁজে পান।

 

স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়াঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসার দাবি দীর্ঘদিনের। কংগ্রেসের একটা বড় অংশের অভিমত- সামনে থেকে দলের ব্যাটন ধরলে কর্মী-সমর্থকরা আরও উজ্জীবিত হবেন। কিন্তু রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে কোনো দিনই প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যায়নি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বড় ভাই রাহুল ও মা সোনিয়ার হয়ে রায়বেরিলি ও আমেথিতে প্রচারণা চালিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ব্যস, ওইটুকুই। প্রিয়াঙ্কা নিজেও সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে অতটা আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু গতকাল দলের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সাধারণ সম্পাদক পদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সামনের ফেব্রুয়ারি থেকেই তিনি পূর্ব উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দলের পশ্চিম উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে।

 

’ এ ঘোষণার পরই দেশজুড়ে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। আমেথিতে রীতিমতো উৎল্লাস শুরু হয়ে যায়। সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র রায়বেরিলিতে আতশবাজি পোড়ানোর পাশাপাশি করা হয় মিষ্টিমুখ। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর প্রিয়াঙ্কাকে অভিনন্দন জানান তাঁর স্বামী রবার্ট ভদ্রও। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘কংগ্রেস প্রধানত প্রকাশ্যে জানিয়ে দিল যে রাহুল গান্ধী ব্যর্থ, তাই পরিবারের মধ্য থেকেই কাউকে হাল ধরতে হবে। মহাজোটের দলগুলো তাকে পরিত্যাগ করেছে।

তাই তিনি পরিবারের কাউকে এগিয়ে আনতে চাইছেন। ’ সম্বিত আরও বলেন, ‘নতুন ভারত জানতে চাইছে যে কংগ্রেসের পরবর্তী নেতা কে হবেন? কারণ জওহরলাল নেহরুর পর ইন্দিরা গান্ধী-রাজীব গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধী, আর এখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সব নিয়োগই একটা পরিবার থেকে। আর এটাই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য। কংগ্রেসের পরিবারই দল, অন্যদিকে বিজেপিতে দল হলো পরিবার। ’

 

এদিকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র উত্তর প্রদেশের আমেথি থেকেই কার্যত লোকসভার নির্বাচনী সফর শুরু করে দিলেন রাহুল গান্ধী। দুই দিনের সফরে গতকাল সকালে লখনৌর চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন রাহুল। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বাব্বরসহ দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে যান আমেথি। রাহুলের সফরকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা হয়। একাধিক জায়গায় বড় বড় পোস্টারে লেখা হয় ‘আমেথি কা এমপি, ২০১৯ কা পি এম’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *