নিউজ ডেস্কঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এর কৃতি সন্তান একুশে পদক প্রাপ্ত গীতিকার, সুরকার, বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই [ ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন ] ভোর ৪টার দিকে আফতাব নগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
২০১৮ সালের মাঝামাঝি বুলবুলের হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বুলবুলকে দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর বুলবুলকে ভর্তি করা হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা বুলবুলের বাইপাস সার্জারি না করে শরীরে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।
সে সময় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. অধ্যাপক আফজালুর রহমানের অধীনেই বুলবুলের শরীরে দুটি স্টেন্ট (রিং) স্থাপন করা হয়।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
বাবা সরকারি চাকুরি করার সুবাদে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় হলেও তার পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এ । ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ স্মৃতি বিস্মৃতি নিয়ে বহু জনপ্রিয় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন।
‘এই দেশ আমার সুন্দরী রাজকন্যা’, ‘আয় রে মা আয় রে’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেবনা’- এমন বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা এই শিল্পী।
তার মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত ও মর্মাহত । আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার-স্বজন-সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।