নাঈম তালুকদার :
দূর্নীতি দমন, সাংসদরা দলের বিপদ ডেকে আনছেন। মন্ত্রীরা দূর্নীতি নির্মূলে যেভাবে এ্যাকশন এ্যাকশন করছেন তাতে আমি চিন্তিত। অবশ্যই ভুল হচ্ছে।
মাদক নির্মূল এবং দুর্নীতি নির্মূল দুটো এক বিষয় না।
মন্ত্রীকে পুরো মন্ত্রণালয় দাপিয়ে বেরাবারও দরকার নেই। আপনি সৎ এবং সাহসী হোন, আপনার সচিবকে সৎ এবং সাহসী করে তোলেন।
দূর্নীতির খবর পেলে তদন্ত এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করেন, দুর্নীতি খুজে বেরাবারও দরকার নেই।
কোন পদক্ষেপ নিলে দূর্নীতির সুযোগ কমে আসবে সেই আইন কানুন প্রনয়নে সময় দেন। আপনি এমন একটি সিস্টেম দার করিয়ে যান যেনো চাইলেও দূর্নীতি করবার সুযোগ না থাকে। এটাই মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের মূল কাজ।
একটি আইন ও সিস্টেম প্রনয়ন করেন যেখানে দূর্নীতির তথ্য দানকারী সরাসরি মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, তার পরিচয় গোপন থাকবে, এবং তিনি পুরস্কৃত হবেন। এই অভিযোগ গুলো মন্ত্রী বিশেষ ভাবে তদন্ত করবেন।
এখন যেটা চলছে, সবাই না কেউ কেউ বলছেন, খাইয়া ফালামু, মাইরা ফালামু, এইটা সঠিক পদ্ধতি না।
আমরা সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে দেখতে চাই আইন প্রনয়নের মাধ্যমে সিস্টেম কতোটা ডেভেলপ করতে পেরেছেন।
আর সাংবাদিকদের কাছ থেকে সাবধান, তারা কিন্তু খাইয়া ফালামু মাইরা ফালামু সংবাদগুলোই বেশী প্রচার করছে, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ব্যাপারে সজাগ দৃস্টি রাখতে হবে।
মাদক নির্মূল ও দূর্নীতি দমন এক বিষয় না, আমি শংকিত মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের হুংকারে, এখানে কৌশলী হতে হবে। সেই সাথে আরেকটা ব্যাপার পরিস্কার হওয়া দরকার দূর্নীতিকে আমরা নির্মূল করতে চাই নাকি দমন করতে চাই। যদি নির্মূল করতে চাই, তাহলে নির্মম হতে হবে, সেক্ষেত্রে REB এর একটি বিশেষ শাখা দূর্নীতি নির্মূলে কাজ করতে হবে।
আর নির্মূল না করে যদি দূর্নীতিকে দমন করতে চাই তাহলে সৎ হতে হবে, সাহসী হতে হবে, কৌশলী হতে হবে।