চট্টগ্রাম ব্যুরো :
উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের নামে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রেললাইনের নোয়াপাড়া স্টেশনের নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
মাস্টারদার ৮৬তম ফাঁসি দিবসে রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে মাস্টারদা সূর্য সেন স্মৃতি পাঠাগারের আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পড়ুন>> প্রণব মুখার্জি ‘ডু অ্যান্ড ডাই’ দিলেন ফজলে করিমের হাতে
ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, মাস্টারদার চট্টগ্রামকে তিন দিন ব্রিটিশদের শাসনমুক্ত রেখেছিলেন বলেই এ জনপদকে বিপ্লবতীর্থ বলা হয়। তিনি চট্টগ্রামকে বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষভাবে পরিচিত করেছিলেন। তার জন্মস্থান রাউজানে হওয়ায় আমরা গর্বিত। তিনি আমাদের কাছে যুগে যুগে বিপ্লবী চেতনার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসার পর রাউজানে মাস্টারদার স্মৃতি রক্ষায় অনেক কাজ হয়েছে। নোয়াপাড়া রেলস্টেশনের নাম হবে মাস্টারদার নামে।
বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে মাস্টারদার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুনাইদ কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন, প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, জমির উদ্দিন পারভেজ প্রমুখ।
শ্যামল কুমার পালিত জানান, মাস্টারদা স্মৃতি পাঠাগার, জন্মভিটি, প্রীতিলতার স্মৃতিধন্য ধলঘাট, সাবেক ইউরোপিয়ান ক্লাব দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন উপমহাদেশ থেকে। কিন্তু নগরে জেএম সেন হলের আবক্ষমূর্তি আর রাউজানের স্মৃতিচিহ্ন গুলো ছাড়া খুব বেশি উদ্যোগ নেই। নগরে বিভিন্ন সময় মাস্টারদার নামে সড়কের নামকরণ, চত্বরসহ গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। মাস্টারদাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান, স্বীকৃতি দিতে হবে।
আবক্ষমূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, রাউজান কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান।
এদিকে নগরের জেএম সেন হলে মাস্টারদা ও সহযোদ্ধাদের আবক্ষমূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী-সদস্যরা।