চট্টগ্রাম ব্যুরো :
একাদশ জাতীর সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ৪২ প্রার্থীর কপাল পুড়েছে। ভাগ্য সহায় হয়েছে ১০৬ প্রার্থীর। চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের ছয়টি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া ৭৯ প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জনকে বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। এসব আসনে ২২ জনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
৩ জনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ১০টি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া ১০১ প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ২০ প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের কেউ ঋণখেলাপি, কারো বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিল বকেয়া, কেউবা সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাযালয়ে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্টিত হয়।
বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হলো-
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে এম শামসুল আলম ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্টানে বিল খেলাপি এবং এরশাদ উল্যাহর ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় তাঁদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সামির কাদের চৌধুরী দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় মনোনয়ন অবৈধ।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যার মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার পুত্র ব্যারিস্টার মীর হেলালের মামলা সক্রান্ত বিষয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আসলাম চৌধুরী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন অবৈধ।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে গিয়াস কাদের চৌধুরী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়।