মো . নাইম তালুকদার :
দিরাই – মদনপুর রোডে সুরমা নদীর উপরের কাঠইড় বেইলী ব্রীজ এখন মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে । ব্র্রীজটির কয়েকটি স্থানে স্টিলের বড় বড় অংশ খসে পড়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে । ফলে এ সড়কে যানবাহনে চলাচল করতে গিয়ে আজ সোমবার সকাল ৮ টায় কয়েকটি যাত্রীবাহী সড়কে চলাচল করতে গিয়ে এম এম এন্টারপ্রাইজ নামক একটি বাস ব্রীজে আটকা পড়ে । ফলে শত শত যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে ।
গত এক বছরে এ ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে একটি মালবাহী ট্রাকও ব্রীজ বেঙ্গে অর্ধ ভাগে আটকে যায় । তাছাড়া এ বেইলী ব্রীজ দিয়ে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না বলে জানান , দিরাই, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ,জামালগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাট বাজারের ক্ষুদ্রে ব্যবসায়ীরা । এলাকাবাসী তাদের প্রয়োজনীয় ভারি মালপত্র নিজের প্রয়োজনে বাড়ি বা দোকানে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রীজটি সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় ভেঙ্গে পরে এ সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এলাকাবাসী ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার বা নতুন ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, দিরাই মদনপুর এই সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার সিংহভাগ মানুষজন জেলা শহর সুনামগঞ্জ ,বিভাগীয় শহর সিলেট, ও বাংলার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত যাচ্ছেন । কিন্তু এই বেহেলী ব্রীজের বেহাল দশা দেখার যে কেউ নেই । এলাকাবাসী আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , দিরাই- মদনপুর সড়কে সুরমা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এ কাঠইড় বেইলী ব্রীজ। বহু দিন যাবত এ ব্রীজটি নির্মাণের পর থেকে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে থাকেন। এ ব্রীজটি সংস্কার বা নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা না হওয়ায় প্রতিদিনই কোন না কোন দূর্ঘটনায় পতিত হতে হয় জনসাধারণকে। তাছাড়া এ ব্রীজটি জনসাধারণের জন্য খুব্ই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্রীজের স্থায়ীত্ব হারিয়ে ফেলার কারনে জেলার অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে।
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ,সিলেট সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ও দিরাই রাস্তার পয়েন্ট , দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা এবং উপজেলা পরিষদ । পূর্ব পাড়ে রয়েছে , অনেক ছোট বড় হাট বাজার , বিভিন্ন স্কুল এন্ড কলেজ, মাদরাসা ইত্যাদি ।
নোয়াখালী ও পাথারিয়া ,দিরাই বাজারে অনেক মুদি দোকানদার জানান , এ ব্রীজটি পুরানো হয়ে যাওয়ার কারনে আমরা ট্রাকযোগে আমাদের বিক্রি পন্যসামগ্রী দোকানে আনতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ থাকায় সড়ক পথে দোকানের মালামাল না এনে নৈৗকা যোগে আমরা মালামাল আনতে হয় । এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয় মাস শেষে মাল বিক্রি করে কোন লাভ পাইনি । লসের বোঝা মাথায় নিয়ে আমাদের ঘূরতে হয় ।
সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে এই ব্রীজটির মাঝে কিছুটা লোহার পাঠাতন পাটল ধরেছে । আমরা খবর পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে দিয়েছি । আমাদের প্রতিনিধি দল রিপোর্ট দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো । ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটি অর্ধজেলার মানুষজনের দূর্ভোগ ও আতংকের প্রধাণ সমস্যার কথা জিঞ্জেস করলে তিনি ,প্রশ্নের জবাবে বলেন ,মানুষজনের চলাচলের স্বার্থে কিছু দিনের ভিতর ব্রীজটি সংস্কার করা হবে ।