বাসস : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সকাল ৮টায় শিখা অনির্বাণের (শিখা চিরন্তন) বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন প্রদান করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এইদিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এই বাহিনী পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে এবং এতে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এই দিন প্রতি বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে (শিখা চিরন্তন) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। সে সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানগণ তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এএফডি’তে পৌছলে এফডিএ’র পিএসও এবং মহাপরিচালকগণ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এইদিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এ বাহিনী পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। আর এই অভিযানের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক দিবসটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।