ছবিতে প্রমাণ : নয়াপল্টনের হামলা কোন পক্ষের ?

নিউজ ডেস্ক: ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে দু’টি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাকে কৌশলে সরকারের ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করছে একটি বিশেষ মহল। কিন্তু এরইমধ্যে সংঘর্ষের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলোর দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিলেই কোন পক্ষ মূলত হামলায় জড়িত তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ছবি হলো বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীর সন্ত্রাসী ভূমিকা। তিনি যখন বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’র সঙ্গে পরিস্থিতির বিবরণী দিচ্ছিলেন তখন তার হাতে ছিলো লাঠি। এবং পেছন থেকে স্লোগান দিচ্ছিলো কর্মীরা। সুতরাং সংঘর্ষ বিএনপির পক্ষ থেকে বাঁধানো হয়নি- তা প্রমাণ করতে হলে অন্তত নিরস্ত্র থাকার প্রয়োজন ছিলো।

আরেকটি ছবিতে উৎসবের আমেজে উপস্থিত হয়েছেন ঢাকা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু। ছবিতে তাকে পুলিশের পোড়া গাড়ির সামনে বীরের বেশে সেলফি তুলতে দেখা যায়। সংঘর্ষ বাঁধানোর দায় যদি বিএনপি প্রত্যাখ্যান করতে চায় তবে নিলুফার ইয়াসমিনের ছবিই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এই ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের উৎসবের আমেজের বদলে সস্ত্রস্ত হওয়ার কথা ছিলো।

এবার যাওয়া যাক, সংঘর্ষে ‘হেলমেট বাহিনী’র উপস্থিতি প্রসঙ্গে। বিগত সময়ে দুটি সাধারণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভিসির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে যারা হেলমেট পরিধান করে হামলা চালিয়েছিল তারা বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মী তা প্রমাণিত সত্য। এই দুই আন্দোলনের ন্যায় নয়াপল্টনের হামালায় হেলমেট পরিধান করে হামালা চালানো হয়েছে। গাড়ি পোড়াতে দেখা গেছে হেলমেট বাহিনীকে। ফলে এই সহিসংতার দায় নিশ্চয় প্রত্যাখ্যান করতে পারে না বিএনপি!

অন্য একটি ছবিকে টেনে বিএনপির নেতারা প্রমাণ করতে চাইছেন যে, এ হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীরা। ছবিতে দেখা যায়, একজন যুবক, যিনি পুলিশের গাড়ির জানালা দিয়ে আগুন গাড়িতে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপি বলছে, ওই যুবক নাকি গাড়ি থেকে জরুরি কাগজ সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন। বিএনপির নেতারা হয়তো খেয়াল করেননি যে, ওই যুবকের হাতে ছিলো ম্যাচ বক্স, যা দিয়ে তিনি আগুন জ্বালাচ্ছিলেন। কাগজ তিনি হাতে নিয়েছিলেন ঠিকই তবে তা সরিয়ে নেয়ার জন্য নয়, বরং আগুন জ্বালানো উদ্দেশ্যেই।

এদিকে বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগকে দিয়ে সরকার পরিকলিপ্তভাবে এ সংঘর্ষ চালিয়েছে। কিন্তু তা যদি হয় তবে ছাত্রলীগ পুলিশকে আক্রমণ করার কথা নয়। অনুরূপভাবে হামলায় পুলিশও ছাত্রলীগের ভূমিকাকে প্রশ্রয় দিতো। কিন্তু ছবিতে ঘটনা দেখা গেছে পুরো উল্টো। পুলিশের প্রতি সহিংসত আচরণ করছে কর্মীরা। সুতরাং বুঝতে খুব বেশি ভাবতে হয় না যে এই সংঘর্ষের দায় কার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *