ফেনী প্রতিনিধি :
সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দির উত্তর পালগিরী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হরিমোহন বৈদ্যর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আহত নারীরা চিকিৎসা শেষে নিরাপত্তাহীনতায় বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জানা যায়, বুধবার মধ্যরাতে সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের উত্তর পালগিরী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হরিমোহন বৈদ্যের বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙে হরিমোহন বৈদ্যের ছেলে তুষার বৈদ্যের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে তার স্ত্রী রুপা বৈদ্য, মেয়ে অনামিকা বৈদ্য ও অনিকা বৈদ্যকে এক এক করে অস্ত্র ঠেকিয়ে পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ও ঘরের ৩টি আলমারি ভেঙে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে পাশের রাজেশ বৈদ্যের ঘরের দরজা ভেঙে তার স্ত্রী নমিতা বৈদ্যের ওপর আক্রমণ করে। ডাকাতরা তাকেও অস্ত্র ঠেকিয়ে তার সন্তান নীলিমা বৈদ্য (৬) ও শিশু সন্তান অরিত্রের (২) গলায় পা দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। তার ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। ভোর তিনটায় তাদের আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।
আহত অনামিকা বৈদ্য, নমিতা বৈদ্য ও শিশু অরিত্র বৈদ্য হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনামিকা বৈদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে শহরে তার আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সোনাগাজী থানা ওসি তদন্ত মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিকালে তুষার বৈদ্য ও রাজেশ বৈদ্যকে থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেন পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা বা আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোনাগাজী থানা পুলিশ জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ।