শেখ আমিনুর হোসেন,সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ: বর্তমান সরকারের ৩২টি উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে নৌকার প্রার্থীকে পুনরায় নির্বাচিত করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন। তবে, নৌকার মাঝি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য গনসংযোগ প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দায়িত্ব পেলে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের আংশিক সাতক্ষীরা-৪ আসনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। এ লক্ষ্যে, তিনি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার পত্র বিলি-বন্টন করছেন। নেতা কর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিটি এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন। তৃনমূল পর্যায়ে মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করছেন। সমাধানের ও পথ নিরুপন করছেন।
সংসদীয় আসন ১০৮ ও সাতক্ষীরা-৪ শ্যামনগর ১২টি ইউনিয়ন এবং কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক অর্থাৎ ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এই আসনে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪৭ জন ভোটার রয়েছে। দেশের সর্বদক্ষিন-পশ্চিম কোনে এই আসনের অবস্থান। ওই এলাকার মানুষ অধিকাংশ মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অংশটুকু এই উপজেলায় অবস্থিত। সাতক্ষীরা জেলার অর্থনীতির প্রানকেন্দ্র এই উপজেলা। এই উপজেলায় বহুবার আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। রাস্তা, ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, স্কুল কলেজ, মাদ্রসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় বার বার প্রাকৃতিক দূর্যোগের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে। বহুক্ষতি হয়েছে। আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও থেমে থাকেনি। শ্যামনগর উপজেলা তৎকালীন সাতক্ষীরা ০৫ আসনের অন্তর্ভূক্ত ছিল। তৎকালীন বার বার নির্বাচিত সংসদ এ কে ফজলুল হকের ছেলে ও এস এম আতাউল হক দোলন। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় একজন নেতা। তিনি এই আসনের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে তার কর্মী সমার্থকদের দায়িত্ব পালনে স্বচেষ্ট রয়েছেন। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে যে কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তার মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রার্থী। তার সাথে কথা হয়েছিল ওই আসনের সার্বিক দিক নিয়ে বাংলার দর্পনের সাতক্ষীরার ব্যুরো চীফ শেখ আমিনুর হোসেনের সাথে।
বাংলার দর্পন :- কেন মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনের?
এস এম আতাউল হক দোলন: এই আসনের যত উন্নয়ন আওয়ামীলীগের সরকারের মনোনীত প্রার্থীদের দ্বারা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে এই আসনের সাধারন মানুষেরা মনোনয়ন নেওয়ার জন্য অনুপ্রেরনা দিচ্ছে। আমিও এই উপজেলার একজন জনপ্রিয় নেতা হিসাবে তাদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠে নেমেছি।
বাংলার দর্পন: সাধারন ভোটার কেন আপনাকে মনোনীত করতে চাচ্ছেন?
এস এম আতাউল হক দোলন: গনমানুষের নেতা হওয়ার জন্য যে বৈশিষ্ট্য গুলো প্রয়োজন আমি মনে করি আমার উপজেলার মানুষ যে ব্যবহার আমার নিকট থেকে পেয়েছে তারা আমার কথা কাজে ব্যবহারে সার্বিক দিক দিয়ে সন্তুষ্টি। যার ফল হিসাবে আমাকে বেঁচে নিতে যাচ্ছে।
বাংলার দর্পন:- বিরোধী দলের ভোটগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু আশাবাদী ?
এস এম আতাউল হক দোলন: মানুষকে কাছে পেতে হলে লাঠি, অস্ত্র নয় বরং ভালবাসা দিয়ে কাছে টানতে হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমরা। হয়তো সব পাবনা তবে ভালবাসা ও সততা তাদের ভোট পেতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় দালাল আর হাইব্রিড নেতা কর্মীদের দমন নিপিড়ননের কারনে নিরীহ মানুষ গ্রামে বাড়ীতে ঘুমাতে পারে না। সাধারন মানুষ এখন ঘরছাড়া। যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক কিন্তু সাধারন মানুষ কেন এর ভূক্তভোগী হবেন। এই সরকার শান্তি প্রিয় সরকার। সাধারন মানুষ শান্তিতে ঘরে থাকতে চাই। শান্তির দূত হিসাবে আমাকে নির্বাচিত করতে চাই।
বাংলার দর্পন:- আপনি সংসদ নির্বাচিত হলে কোন বিষয়গুলো বেশী গুরুত্ব দিবেন ?
এস এম আতাউল হক দোলন: অযাথা সাধারন মানুষের হয়রানী বন্ধ। যেহেতু দূর্যোগ প্রবন এলাকা সেহেতু বর্তমানে পাকিস্তানী ডিজাইনে তৈরী ভেড়ীবাঁধ নতুন পারিকল্পনা অনুযায়ী আরো টেকশই করা। বেশী ঝুকিপূর্ন এলাকা গুলো বেশী বেশী বরাদ্দ মাধ্যমে ঝুকিমুক্ত করা। শিক্ষার মান উন্নয়ন পর্যন্ত ভূমিকা রাখা। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ও সবুজায়ন অক্ষুন্ন রাখা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করা। কৃষিখাতে বিশেষ করে চিংড়ী খাতে উন্নয়ন করা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোসহ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা ও মানসিকতা নিয়ে আমি সংসদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।
বাংলার দর্পন:- সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের ব্যপক সম্ভবনা আছে। পর্যটন শিল্পকে নিয়ে আপনার কোন চিন্তা আছে কী?
এস এম আতাউল হক দোলন: সাতক্ষীরা জেলায় যতগুলো পর্যটন স্থান রয়েছে সে গুলো প্রচুর ভীড় লক্ষ করা যায়। এবং শীত মৌসুমে সুন্দরবনে পর্যটন স্থানগুলো পর্যটক ভিন্নমাত্রা যোগ হয়।যদি আমরা সরকারের সুদৃষ্টি রাখার প্রস্তাবনা দেই তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব পাবে পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে বেশী করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সুন্দরবন সংলগ্ন পর্যটন সম্ভবনা স্থান গুলো চিহ্নিত করে সেখানে পর্যটন স্থান তৈরীর পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
আমাকে সময় দেয়ার জন্য বাংলার দর্পনের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এস এম আতাউল হক দোলন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আরো ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলার দর্পনের পরিবারকে।