কােটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ব্যাপক চাহিদা ও অধিক মুনাফা থাকায় দেশীয় ফল পেয়ারা চাষ করে অল্প দিনেই সফল চাষি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে ১৬৫.৬৬ বর্গ কি.মি. আয়াতনের উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৮১টি গ্রামের অধিকাংশ চাষিরা। সেই কারনেই নিয়মিত চাষিরা ছাড়াও অনিয়মিত চাষিরাও ঝুকছেন পেয়ারা চাষে। গ্রামের প্রতিটি মাঠে এখন পেয়ারা বাগানে ছয়ে গেছে। যেসব মাঠে অন্যান্য চাষ হতাে, সেইসব মাঠে এখন পেয়ারা বাগানের সবুজ রঙ্গে ছেয়ে যাচ্ছে।
গল্পটা ঝিনাইদহ জেলার কােটচাঁদপুর উপজেলার। সরিজমিন ঘুরে দেখা যায়, এই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় সব মাঠেই এখন পেয়ারার চাষ ভরে গেছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ১নং সাফদারপুর ইউনিয়নটি পেয়ারা চাষে বেশি এগিয়ে। এলাকার পেয়ারা চাষে ব্যাপক সফলতা দেখে অন্য চাষিরা ছাড়াও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার শিক্ষিত যুবসমাজ। বলা যায় এলাকার চেহারায় বদলে দিচ্ছে পেয়ারা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, কােটচাঁদপুর উপজেলায় প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হচ্ছে। পেয়ারা বিক্রি করে বছরে বিঘা প্রতি প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকা লাভ করা সম্ভব বলে জানান কৃষি অফিস। ভালাে জাতের চারা লাগানাের পর নিয়মিত পরিচর্চা এবং সময় মত পলি ও স্প্রে করতে পারলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যেই ফল দেয়া শুরু করে। একবার ফল ধরা শুরু হলে নিয়মিতই ফল পাওয়া যায়। অন সিজন প্রতি কেজি পেয়ারা সর্বনিন্ম ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও অফ সিজন এই পেয়ারা বিক্রি হয় ৭০-৮০ টাকা পর্যন্তÍ কেজি দরে।
উপজেলার লক্ষিকুন্ড গ্রামের বড় পেয়ারা চাষি শাহাজান আলী বলেন, প্রথমে আমি অর্থনৈতিক ভাবে অনেক কষ্ঠের মধ্যে থাকলেও পেয়ারা চাষ করে এখন আমি পুরােপুরি সাবলম্বি। প্রথম দিকে অল্প জমিতে পেয়ারা চাষ শুরু করলেও বর্তমান নিজের জমি ছাড়াও অন্যের জমি লিজ নিয়ে মােট ২০-৩০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করছেন।
কােটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাজ্জাদ হােসেন জানান, এই উপজেলায় বর্তমানে প্রতিনিয়ত পেয়ারার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদেরকে যে কােন বিষয়ে পরামর্শ ছাড়াও যাবতীয় দেখভাল করছেন।