অপরাধি জেনেও শেষ পর্যন্ত সরকার যে কারণে এস কে সিনহাকে সম্মান-প্রটোকল দিয়েছে

নিউজ ডেস্ক : জুডিশিয়াল ক্যূ করে তৃতীয়পক্ষকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে রাষ্ট্রপতি হওয়ার মিশনে ব্যর্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। চিকিৎসার নামে দেশত্যাগকে সরকারের অত্যাচার হিসেবে তুলে ধরে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিতর্কিত একটি বই প্রকাশ করেছেন সিনহা। সেখানে তিনি মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সরকারকে দায়ী করেছেন তার দেশত্যাগের জন্য। আদতে নিজ অপরাধ, দুর্নীতি ঢাকতে এবং অর্থের প্রভাবে বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সরকারকে বিপদে ফেলতে দেশের বাহিরে বসে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তার এই মিথ্যাচারকে আবার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কিছু বেনামী মিডিয়া সস্তা জনপ্রিয়তা লাভের জন্য মিথ্যায় ভরা তথ্য ছড়াচ্ছে।

সূত্র বলছে, জুডিশিয়াল ক্যূ করে রাষ্ট্রপতি হতে ব্যর্থ হওয়া এস কে সিনহা মূলত মনের জ্বালা নিয়েই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বইটি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি তার অপরাধ ও পাপ ঢাকতে সরকারকে দায়ী করে বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম করেছেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধ, অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করলেও রাষ্ট্র কিন্ত শেষ পর্যন্ত তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়েছে। সিনহা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেও রাষ্ট্র তার পদমর্যাদা ও বিচার বিভাগের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সম্মান প্রদর্শন করে তাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। একজন বিচারপতি সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি ষড়যন্ত্র করতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র তার বিশিষ্ট নাগরিকের প্রতি অনাস্থা দেখায়নি। তার স্পষ্ট অপরাধ দেখেও রাষ্ট্র তার প্রতি সহনশীল ছিল। এক জন প্রধান বিচারপতির প্রতি যে শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানো এবং প্রটোকল দেওয়া উচিত, সরকার তার দেশত্যাগ পর্যন্ত সেই প্রটোকলের ব্যবস্থা রেখেছিল। তার অপরাধের বিষয়গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে গেলে সরকার তার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় না পড়ে তাকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়েছে। যে বিচারপতি সারাজীবন দেশের সেবা করেছেন, তিনি হয়ত শেষ বয়সে অর্থ-বিত্তের লোভে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছেন, এরপরও সরকার অসীম ধৈর্য ও সম্মান দেখিয়েছে।

সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আসনে বসিয়ে বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং প্রশাসন ব্যবস্থার স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। সরকারের এই প্রচেষ্টা দেশসহ সারাবিশ্বের প্রশংসিত হয়। অথচ দুঃখের বিষয় হলো, যে সরকার ও রাষ্ট্র তাকে এত সম্মান ও মর্যাদা দিল সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অস্থিতিশীল করে অবৈধ উপায়ে তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য এস কে সিনহা যা করেছেন তা সত্যি রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ। নিজ অপরাধ ও দুর্নীতির বিষয়টি ঢাকতে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার করতে এস কে সিনহা যখন দেশত্যাগ করেন, সেময়ও রাষ্ট্র তার পদ মর্যাদা বিবেচনায় প্রটোকল দিয়েছে। তার নিরাপত্তা দিয়েছে। এরপরও কিছু বেনামী ও অখ্যাত মিডিয়া এস কে সিনহা ও বিএনপি-জামায়াতের টাকা খেয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। যা গণমাধ্যমের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *