নিউজ ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। ময়মনসিংহের এই ছাত্রনেতা আইন বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী। বাবা সুকুমার চন্দ্র রায় আর মা কল্পনা রানী দাস। দেশের সেবা করতে হলে একটি স্পেস প্রয়োজন বুঝতে পেরে রাজনীতি আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া বাবা ছিলেন টানা ৯ বছর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, সেখান থেকেও উৎসাহ পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিজ্ঞার কথা জানালেন তিনি । এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। নিচে পাঠকদের জন্য সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। কিন্তু একটি মহল সবসময় দাবি করে রাজনীতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এই অভিযোগ খন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কী কী ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ?
আগেও আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সাবেক সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। একই সঙ্গে আমি আইন বিভাগের ছাত্র, আমিও পড়াশোনা করেছি। আমার কোনো ইয়ারে ড্রপ নেই, কোনো সাবজেক্টে আমি কখনো ফেলও করিনি। রাজনীতি পড়াশোনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আপনি হয়তো জানেন, আগামী বাজেটে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বান্ধব পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই জন্য কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হবে। মল চত্বরে একটি ভবন হবে, এনেক্স ভবনের দিকে একটি ভবন হবে, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার হবে। এছাড়া পড়াশোনার মানোন্নয়নে যা যা করা দরকার সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আমি ইতিমধ্যেই উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। গবেষণা ভিত্তিক যে সকল শিক্ষা কার্যক্রম আছে তা সচল করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ভিত্তিক ও সামাজিক সচেতনতা ভিত্তিক যে সকল সংগঠন আছে তাদের কার্যক্রম গতিশীল করতে যা যা করা দরকার সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে স্যারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমরা বলেছি, শিক্ষার মানোন্নয়নে আপনারা লাইব্রেরির উন্নতি সাধন করেন। আমরা চাইছি পড়াশোনা সার্বিক পরিবেশটা যেন ভালো হয়। সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়েও আমরা কথা বলেছি। এই বিষয়টা আমি নিজেও খুব অপছন্দ করি। আমার আইন বিভাগে এটা কয়েকবারই চালু করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু আমরা বিভিন্নভাবে তা নস্যাৎ করেছি। এই কারণেই এখন পর্যন্ত আমাদের বিভাগে ইভনিং কোর্স নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় ইভনিং কোর্স থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার জায়গা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত। কিন্তু এই খ্যাতিতে এখন আঁচ লেগেছে। অতীতের ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুস্থ রাখার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নেবে।
ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন?
আপনারা ইতিমধ্যেই দেখে থাকবেন, কেউ যাতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ যেন নষ্ট করতে না পারে এবং আইবিএ ক্যান্টিনের আশেপাশে কেউ যেন হট্টগোল করতে না পারে বা হর্ন না বাজায় সে জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ইতিমধ্যেই নোটিশ দিয়েছি। ক্যাম্পাসে কেউ ব্যক্তিগত ব্যানার-ফেস্টুন কেউ ব্যবহার করতে পারবে না এমন নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও ছাত্রবান্ধব যা যা কর্মসূচি আছে তা নিয়ে সামনে আসবো। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের বড় ভাই হতে চাই, নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেতা হতে চাই না। আমরা রাজনৈতিক আদর্শের জায়গাটা ধারণ করবো, একটা জায়গায় গিয়ে সেই আদর্শ ফলাও করে প্রচার করবো, কিন্তু আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে, সবার সাথে যে মিলেমিশে থাকতে পারবে সেই ছাত্রলীগ করার যোগ্যতা রাখবে। আমরাও আশাবাদী আমরা সকলকে নিয়ে এই ক্যাম্পাস চালাবো। আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো অসম্ভব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অংশ, এমন আরও অনেক অংশ আছে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যারাই যারাই ভালো রাখতে চায়, এই দেশকে যারা ভালোবাসে তাদের সকলের সঙ্গে আমাদের সখ্যতা থাকবে। ঢাবি ছাত্রলীগ কখনোই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বানাবে না। আশা করি, এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো হবে।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। গত বছর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এবার প্রশ্ন ফাঁস রোধে ছাত্রলীগ কী চিন্তাভাবনা করছে?
প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যে কোনো একদিন প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী একটি মত বিনিময় সভার আয়জন করবে। এই সভার মাধ্যমে আমরা সবাইকে আমাদের ‘ফেয়ার’ অবস্থান জানিয়ে দেব। ছাত্রলীগের কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওরা যতটুকু অন্যায় করবে সে অনুপাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রশ্ন ফাঁস করবে না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ে কেউ যদি গুজব ছড়াতে চেষ্টা করে তার প্রতিরোধে আমাদের মত বিনিময় সভাটা হবে অত্যন্ত জরুরি। এই মতবিনিময় সভাটার মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রলীগের কোনো অংশই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবেনা । যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তারা ছাত্রলীগের অংশ নয় এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে শতভাগ সহযোগিতা করবো।
সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে জনপ্রিয় করে তুলতে কী কী কর্মসূচির কথা ভাবছেন? সদ্য সাবেক কমিটি হলের খাবারের মানোন্নয়নের মতো কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল।
গতবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অনেক কাজ করেছে। তাঁরা হলের খাবারের মান নিয়ে কথা বলেছেন, অনেক প্রোগ্রাম করেছেন। কিন্তু এই উদ্যোগগুলো খানিকটা প্রোগ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাইবো, আমরা যেন উদ্যোগগুলো কর্মে রূপান্তরিত করতে পারি। এছাড়া বিভিন্ন হলে যে লাইব্রেরিগুলো আছে, সেখানে যেন কোনো বহিরাগত পড়াশোনা করতে না পারে এবং বিভিন্ন হলে কোনো বহিরাগত যেন হলে থাকতে না পারে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে প্রয়োজনে আমরা হল ছাড়ার জন্য অনুরোধ করবো। কারণ আমরা যদি খারাপ ভাবে বলতে যাই তাহলে আবার খবর হবে সিটের ভাড়া না দেওয়ায় তাদেরকে আমরা মেরে বের করে দিয়েছি। আমাদের নামে তো অভিযোগের তো অভাব নেই। এজন্য প্রয়োজনে তাদেরকে আমরা বুঝিয়ে বলবো কিন্তু এই ক্যাম্পাসের পরিবেশ সার্বিকভাবে ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করবো।
আমরা হলের গণরুমগুলোতে যাবো। এখন গরম কাল আর অনেক গণরুমেই ফ্যান নেই, অনেক রুমে একটা-দুইটা করে আছে। সেক্ষেত্রে আমরা ফ্যান দিয়েও সহায়তা করবো। আমরা যদি জানি কোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোনো ধরনের সমস্যায় আছে তাহলে সেটা সমাধান করতে আমরা নিজেরাই এগিয়ে যাবো। আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করতে হবে না। এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মূলনীতি হবে। সাধারণ ছাত্রদের দোরগোড়ায় সবসময় থাকবে ঢাবি ছাত্রলীগ। আমরা নিজেদেরকে কোনো আলাদা জগতের প্রাণি মনেও করবো না, হতেও দেব না।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি উপাচার্যসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অবস্থান কী?
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রস্তুত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তাদের বিষয়। তবে ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
সামনে জাতীয় নির্বাচন। সবসময় দেখা যায়, যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার একটা চেষ্টা করা হয়। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে?
আমাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে অন্যরা কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তার ওপর। অন্যরা যদি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরাও সেই ধরনের পদক্ষেপ নেব। আর ওরা যদি কোনো ধ্বংসাত্নক কার্যক্রম করতে চায় তবে আমরা তা প্রতিহত করবো। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে কখনোই দেব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে ঠিক রাখার জন্য এখানে অরাজকতা সৃষ্টিকারী কাউকে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না, সে যেই হোক না কেন। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।
এক্ষেত্রে আবার একটা প্রসঙ্গ চলে আসে যে ছাত্রলীগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর্মস ব্যবহার করতে পারে কিন্তু ছাত্রলীগের সেই অধিকার নেই।
আমি নিজেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রায় ১০ বছর ধরে জড়িত। বিগত ১০ বছরে আমি কারো হাতে আর্মস দেখিনি। আর্মসের তো প্রয়োজন আসে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখতে চায়, ভালো রাখতে চায় এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আমরা সকলে যদি একসাথে চেষ্টা করি তাহলে আর্মস ছাড়াই বিশ্ববদ্যালয়ের পরিবেশ সুস্থ ও সুন্দর রাখা যাবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে গুজব প্রতিরোধের জন্য সাইবার ব্রিগেড গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কি এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা আছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোনো গোপন বিষয় প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। আমাদেরও এমন কার্যক্রম থাকবে তবে সেগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। এতে প্রাইভেসি হুমকির সম্মুখীন হয় আর আমাদের বিরুদ্ধ শক্তি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে। সবকিছু ফেসবুকের মাধ্যমে করতে হবে তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের অবশ্যই সাইবার ব্রিগেড থাকবে। এই ব্রিগেড পর্দার অন্তরালে কাজ করবে। কারা কাজ করবে, কোন জায়গা থেকে পরিচালিত হবে কেউ জানবে না। ট্রেনিং নেওয়ার মাধ্যমে বা প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কথাবার্তা বলে সহযোগিতা নিয়ে আমরা সাইবার ব্রিগেড চালু করবো। এটা তো আসলে চাইলেই গড়ে তোলা যাবে না। সাইবার ব্রিগেড গড়ে তুলতে হলে আমাদের আর্থিক সহায়তা লাগবে। এখন পর্যন্ত সাইবার ব্রিগেড গঠন করা হয়নি। আপাতত স্বাভাবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে গুজব প্রতিহত করার চেষ্টা করা হবে।
অনুপ্রেবশকারী রোধে কী ব্যবস্থা নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ?
সমুদ্রে অনেক ধরনের প্রাণি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বিশাল ছাত্র সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও সংগঠন হিসেবে বেশ বড়। এখানে অনুপ্রবেশকারীরা ঢোকার চেষ্টা করবে তা অস্বাভাবিক নয়। তাঁদেরকে ঠেকানোর জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ঢাবি ছাত্রলীগ তা গ্রহণ করবে। যেমন এবার আমরা কমিটি করার আগে সকলের পরিবারের খোঁজখবর নেব। সারা দেশব্যাপী আমাদের নিজেদেরও একটা যোগাযোগ আছে। ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে যারা যোগ্য, যারা ভিন্ন কোনো আদর্শ ধারণ করে না, তাদেরকেই আমরা পোস্টে বহাল রাখবো। তারপরও আপনারা জানেন শতভাগ বলে কিছু নেই। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে একজন অনুপ্রবেশকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে ঢুকতে না পারে।
নির্বাচন সামনে রেখে কোনো বার্তা?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সম্পদ। দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের টাকায় আমরা পড়াশোনা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ইট-কাঠে এই মেহনতি মানুষের ঘাম লেগে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতি যদি করার চেষ্টা যদি কেউ করে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে থাকবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রাষ্ট্র পরিণত করতে, যারাই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রয়োজনে দিনরাত না ঘুমিয়ে পরিশ্রম করবে। সবার আগে থেকে ঢাবি ছাত্রলীগ প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো রাখার সর্বাত্নক চেষ্টা করবে। আর আমরা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সকল উন্নয়ন কাজ করেছেন এরপর আমার মনে হয় না আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দলকে মানুষ ভোট দেবে।