নিউজ ডেস্ক:সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক বিতর্কিত চিত্রশিল্পি শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে বিদেশিদের সাহায্য প্রার্থণা করে লবিং করছেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের মেয়ে জামাই ডেভিড বার্গম্যান। এছাড়া ১/১১ এর কুশিলব ড. কামাল হোসেন ও তার মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনও শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য পয়সার বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, শহিদুল আলমের সহযোগীরা ডেভিড বার্গম্যানকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষ দিয়ে বিদেশি স্বনামধন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে শহিদুল আলমকে মুক্ত করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
সূত্র বলছে, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারণে আটক শহিদুল আলম তার সহযোগীদের আগে থেকেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে তাকে আটক করলে অবশ্যই ডেভিড বার্গম্যানকে ভাড়া করে বিদেশিদের সাথে লবিং করানো হয়। কারণ বার্গম্যান আন্তর্জাতিক লবিস্ট হিসেবে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। এর আগে যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতে জামায়াতের টাকা খেয়ে ভাড়াটে লবিস্ট হিসেবে কাজ করে মানুষের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন। জানা গেছে, অবৈধভাবে অর্জিত টাকার ব্যবহার করে শহিদুল আলমের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য বার্গম্যানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বার্গম্যান মূলত এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তৃতীয়পক্ষ বলা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, কথিত মানবাধিকার সংস্থা, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে টাকা পাঠিয়ে শহিদুলের মুক্তির জন্য কাজ করছেন বার্গম্যান। যেহেতু বার্গম্যান একজন বিদেশি নাগরিক তাই তার উপর বিদেশিরা পূর্ণ আস্থা রেখে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিবে, এমন চিন্তা থেকে বার্গম্যানকে টার্গেট করে শহিদুল আলমের সহযোগীরা। মূলত লন্ডন ভিত্তিক কিছু সংগঠন ও ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভাগের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন বার্গম্যান। জানা গেছে, বার্গম্যান ইহুদি এবং ইসরাইলের পাড় সমর্থক। শহিদুল আলমও ইসরাইলের ফ্রন্ট ম্যান হিসেবে কাজ করতেন বাংলাদেশে। শহিদুল আলম অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঁচার করেছেন। ইসরাইলের অনেক গোপন মিশন সম্পর্কে অবগত আছেন শহিদুল। তাই সেই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে সরকারের হাতে না পৌছায় সেজন্যই কোটি কোটি টাকা খরচ করে শহিদুল আলমকে মুক্ত করার অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাইল।
এদিকে শহিদুল আলমের মত একজন রাষ্ট্র বিরোধী চক্রান্তকারীর জন্য বার্গম্যানের মত ইহুদির লাফঝাফ দেখে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে দেশের সুশীল সমাজ। বাংলাদেশের শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করতে আন্তর্জাতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করা বার্গম্যানের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তারা। পাশাপাশি শহিদুল আলমের বিষয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।