নির্বাচনের আগে রাজশাহীতে হরতালের নামে নাশকতা করতে চান বুলবুল | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক :

রাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে নগরীতে । প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছে বিরামহীন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এবারের রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপি থেকে মনোনীত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রার্থীদেরও সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। লিটন সহ অন্যান্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলেও উল্টো দিকে হাঁটার পাঁয়তারা করছেন বুলবুল। জনসমর্থন না পেয়ে এক প্রকার দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে বুলবুল। ফলশ্রুতিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নির্বাচন বানচালের জন্য নগরীতে ২০১৪ সালের মতো পুনরায় নাশকতা তৈরির ছক কষছে বুলবুল। সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় বুলবুলের বক্তব্য থেকেও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

গত ২১শে জুলাই নগরীর ৩নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর সময় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকার হুমকি দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সকালে নগরের বহরমপুর এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ হুমকি দেন বুলবুল।

হরতালের নামে মূলত আবারো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চড়াও হতে চান বুলবুল। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতাল পালনের নাম বুলবুলের নির্দেশে নগরীর লোকনাথ স্কুল মোড়ে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলা হয়। হামলায় আহত নয় পুলিশের মধ্যে সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই রাতেই বোয়ালিয়া থানার এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেছিলেন। সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হিসেবে জেলও খেটেছেন বুলবুল।

এদিকে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে বুলবুলের এমন নাশকতা সৃষ্টির হুমকিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে নগরীর সাধারণ মানুষের মাঝে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *