নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। হলফনামায় তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সুনির্দিষ্ট ডিগ্রি উল্লেখ করতে পারেননি। তিনি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার নির্ধারিত স্থানে ‘স্বশিক্ষিত’ বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও সিলেটের অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণীতে ডিগ্রির উল্লেখ রয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু আরিফুল হক।
প্রসঙ্গত, জনস্বার্থে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে আরিফুল হকের হলফনামায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে আরিফুল হকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিলেট বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। আর তা প্রমাণ হলো আরিফুল হকের জমা দেয়া হলফনামার বিবরণীর মাধ্যমে।
এমন বাস্তবতায় বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সিলেটের ভোটারদের মাঝে আরিফুল হকের প্রতি তৈরি হয়েছে ঘৃণা। তারা বলছেন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই তিনি কিভাবে নগরবাসীর উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন? তিনি কিভাবে নগরপিতা হতে পারেন?
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী মাঠ পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়া, বিগত সময়ে মেয়র পদে থেকেও নগরীর উন্নয়ন না করা, নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ না করা-সহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে জনগণের কাছে মূল্যায়ন হারিয়েছেন আরিফুল হক।