নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম নির্বাচনে যেকোন উপায়ে জয়ী হতে বিশৃঙ্খলাসহ একাধিক নাশকতার পরিকল্পনা করেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করতে প্রয়োজন হলে পৌর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটানো এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আক্রমণ করারও ছক এঁকেছেন। সম্প্রতি পৌর এলাকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত একটি সাধারণ সভায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা ভিডিও ফাঁস করে দেন রফিকুল ইসলামের এক সমর্থক। ফাঁস হওয়া সেই ভিডিও বার্তায় রফিকুল ইসলামের একজন সমর্থক প্রয়োজন হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন বক্তব্য দেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই একাধিক নাশকতা ও অনিয়মের ছক এঁকেছেন রফিকুল ইসলাম। খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ে শঙ্কিত হয়ে যেকোন উপায় অবলম্বন করে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হওয়ার জন্য রফিকুল ইসলামকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। পর পর দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় সারা দেশে বিএনপির মৃত অবস্থান দেখে আঁতকে উঠেছেন তারেক। তাই কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে কোন রকম ভুল না করার কড়া আদেশ দেন তারেক। নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীরা একটি ভোট না পেলেও চলবে। কিন্তু মেয়র পদে অবশ্যই রফিকুল ইসলামকে জিততেই হবে। জয়ী হওয়ার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পয়সা দিয়ে কিনে নেয়ারও নির্দেশ দেন তারেক। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সাথে নিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন তারেক। আর পরিস্থিতি যদি প্রতিকূলে যায়, তবে ভোট কেন্দ্রে মারামারি, ব্যালট বাক্স চুরি, বোমাবাজী করারও বিষয়গুলো মাথায় রাখার জন্য রফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান।
সূত্র বলছে, লন্ডন থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গোপন একটি বৈঠক করেন রফিকুল ইসলাম। সেই মিটিংয়ে রফিকুল ইসলামের এক সমর্থক তারেক রহমানের নির্দেশনাগুলো উপস্থিত বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের মাঝে তুলে ধরে তাদের ব্রেনওয়াশ করেন। নাম না জানা সেই সমর্থক নির্বাচনে জয়ী হতে কাউন্সিলরদের বিসর্জন দিয়ে হলেও রফিকুল ইসলামকে জয়ী করার ব্যাপারে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জিম্মি করার ব্যাপারে হুমকি দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফল বিএনপি প্রার্থীর বিপরীতে গেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আক্রমণ করে প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হামলা করে আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে সরকারকে বিব্রত করার বিষয়েও নিজেদের ছকের কথা বলেন সেই সমর্থক।
রফিকুল ইসলামের সেই নির্বাচনী আলোচনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে যায়। ক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি প্রার্থীর ধৃষ্টতা ও কুমতলবের বিষয়ে জানতে পেরে সাধারণ ভোটাররা ছিঃ ছিঃ করছেন। রফিকুল ইসলামের সমর্থনে বিএনপির এই ভয়ানক পরিকল্পনা নির্বাচনে তার জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।