কক্সবাজার পৌর মেয়র প্রার্থী জামায়াতের সরওয়ারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর আলাদা আলাদা প্রার্থী দেয়া এখন সিটি করপোরেশন থেকে পৌর নির্বাচনেও স্থানান্তরিত হয়েছে। সে মোতাবেক কক্সবাজার পৌরসভায় আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এই রেশারেশির মধ্যেই জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সরওয়ার কামালের নারী লোলুপতা ও চরিত্রগত সমস্যার তথ্য কক্সবাজার পৌর এলাকায় এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও ব্যক্তি জীবনে ইসলামের তোয়াক্কা না করে বাহ্যিক লীলা-খেলাতেই মত্ত থাকেন।

বিএনপি এবং জামায়াতের একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে, সরওয়ার কামালের নারী লোলুপতার বিষয়ে সর্বস্তরের মানুষ অবগত। তিনি ব্যক্তি জীবনে ৪টি বিবাহ করেছেন। এছাড়াও তার বহু নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম মিনু ও দুই সন্তান থাকা অবস্থায় টেকনাফের জনৈক এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্ত্রানের জননী রুকসানা পারভীনকে ব্ল্যাকমেইল করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে তার নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয় এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এছাড়া সরোয়ার কামালের বিরুদ্ধে রুকসানা পারভীনের চাচাতো বোন রোজিনা আক্তারকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে অপকর্মে বাধ্য করানোর মতো অভিযোগও পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার বিএনপির একজন নেতা বলেন, বিএনপি সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে নয়, বাস্তবেই সরওয়ার মানুষ হিসেবে ভালো না। তার নৈতিক অবক্ষয়ের গল্প সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষই জানে। তিনি বেশ কয়েকবার নারী ঘটিত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অপমান-অপদস্তও হয়েছেন। তবু কথায় আছে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। পুনরায় তিনি একইরকম কাজ করেছে। জামায়াত যদি সরওয়ারের জায়গায় অন্য কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করতো তাহলে ভালো করতো। জামায়াতের এমন ভুলের মাসুল তারা অচিরেই পাবে।

শুধু বিএনপি নয়, জামায়াতের অনেক নেতাই সরওয়ারের চরিত্রগত সমস্যার কথা অকপটে তুলে ধরেছেন। কক্সবাজার পৌর জামায়াতের একজন আমির বলেন, তাকে আমি ভালোই জানতাম। একজন মানুষের একাধিক স্ত্রী থাকাকে ইসলামী সমর্থন দেয়। তাই একে খারাপ চোখে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একইসঙ্গে চলাফেরা করতাম আমরা। তাই প্রায়ই আমার বাড়িতে আসতেন তিনি। কিন্তু চারটি স্ত্রী থাকার পরেও তিনি আমার ছোট বোনের দিকে কুনজর দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। তিনি আমার বোনকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। আমি সেদিনই বুঝেছিলাম সে আসলে মানুষ হিসেবে চরিত্রহীন ছাড়া আর কিছু না। সেদিন থেকেই আমি তার সঙ্গ ত্যাগ করি।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার পৌর এলাকা ঘুরে ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে সরওয়ারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *