নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো রাজশাহী শহর এখন প্রচারণায় মুখরিত | বাংলারদর্পন

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামি ৩০ জুলাই অনুুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো শহর এখন প্রচারণায় মুখরিত। পাড়া মহল্লায় ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার টানিয়ে এবং মাইকিং করে করা হচ্ছে প্রচারণা। আর সেই সাথে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নির্বাচনী কার্যালয়। পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন বয়সী মানুষদের সময় কাটানো ও নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহারের জন্য এসব অস্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হচ্ছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাসিকের ৩০ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। নগরীর রাজার হাতা, কাদিরগঞ্জ, উপশহর, শ্রীরামপুর, কাশিয়াডাঙ্গা, সপুরা, হেতমখাসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধনও করেছেন মেয়র প্রার্থী লিটন।

মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তাদের নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে শুরু করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লায় রয়েছে একাধিক নির্বাচনী কার্যালয়। সমর্থকদের মতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নিজ নিজ প্রার্থীদের প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত হবে এসব কার্যালয়গুলো। আর সেখানে সব বয়সী সমর্থকদের একটি মিলনাস্থল তৈরী হবে। কোন কোন্দল নয়, শুধু পছন্দের প্রার্থীর হয়ে কাজ করার জন্য একটি মিলনস্থল এই সকল কার্যালয়ের প্রয়োজন পড়ে।

নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের সমর্থক সেলিম রেজা বলেন, নির্বাচন এলে সব বয়সী মানুষদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানোর মাঝে একটি ভাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি হয়। এই ভাতৃত্ববোধ আমাদের সর্বস্তরের মানুষকে এক করে দেয়। নির্বাচনী কার্যালয় শুধু প্রতীক পরিচয়ের জন্য ব্যবহার হলেও আমাদের মধ্যে ঐক্যবোধ গড়ে উঠে।

নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক আবু রায়হান বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছন্নছাড়া ভোটার রয়েছেন। এলাকাবাসীর দুরুত্ব মেটাতে কাউন্সিলরগন নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করে দিয়েছেন। কার্যালয়টি নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত হলেও এটি এখন আমাদের সিনিয়র-জুনিয়র ভাইদের মিলনস্থল।

তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে তেমন দেখা যায়নি। প্রচারণার প্রথম দিনেও শুধু মাত্র মাইকিং ছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক ব্যানার ফেস্টুনের প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের মতে, ব্যানার ফেস্টুন তৈরী থাকলেও তেমন ভাবে প্রচারণার কাজ শুরু হয়নি। নির্দেশনা পেলে আগামিকাল বুধবার থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার কথাও জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *