সম্পদ বেড়েছে মেয়র প্রার্থী আরিফুলের, কমেছে কামরানের | বাংলারদর্পন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদ আগের চেয়ে কমেছে। তবে তাঁর স্ত্রী আসমা কামরানের সম্পদ বেড়েছে। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সম্পদ বেড়েছে।

মেয়র প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মনোনয়নপত্রে লিখেছেন, তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৩১ টাকা। নগদ ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫২ টাকা এবং প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের অলংকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার। সিলেট সিটি করপোরেশনের সোনালী ব্যাংকে ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ২৮২ টাকার দেনা রয়েছে। তিনি পেশায় বালু ও পাথর সরবরাহকারী এবং কমিশন এজেন্ট। ব্যবসা থেকে কামরান বছরে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। এছাড়া তার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক আয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৪০৩ টাকা। তার স্ত্রী আসমা কামরানের ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১ হাজার ৩৯০ টাকা মূল্যের দালান, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। এছাড়া অকৃষি জমি রয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৫৩১ টাকার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা। সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপগাড়ি এবং প্রায় ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের অলংকার, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী রয়েছে।

আরিফুল হক চৌধুরীর মনোয়নপত্রে উল্লেখ করেছেন, তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২ টাকা। এর মধ্যে নগদ ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৭ টাকা, ১১ লাখ ২৫ হাজার ৭৭ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৩ দশমিক ৩৪ টাকা, ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার, ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২৭৫ টাকার প্রাইজবন্ড, ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা সমমূল্যের গাড়ি, দেড় লাখ টাকার ইলেকট্রনিকসামগ্রী, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে। আরিফের ৮ দশমিক ৫৩ একর কৃষিজমি, ৫ দশমিক ৫৩ একর অকৃষি জমি, সেমিপাকা ৩টি ও ২টি দালান রয়েছে। তবে সিলেটের পূবালী ব্যাংকে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার ২৫০ টাকা ও সিটি ব্যাংকে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩ টাকা দেনা রয়েছে। আরিফ পেশায় সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন ও ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ১২০ টাকা। তার স্ত্রী শ্যামা হক চৌধুরীর আয় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা। আরিফের মেয়ের মালিকানাধীন বাসা থেকে ভাড়া ১ লাখ ৮ হাজার ও নির্ভরশীলদের কৃষি খাত থেকে ৩০ হাজার টাকা পান। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ লাখ, ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি পিকআপ গাড়ি, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকার আসবাবপত্র, ১ লাখ ১২ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকসামগ্রী রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে দশমিক শূন্য ৮ একর অকৃষি জমি ও একটি সেমিপাকা দালান রয়েছে। আরিফুল হকের মা আমিনা খাতুনের নামে একটি ফ্ল্যাট ও দশমিক শূন্য ৩ একর অকৃষি জমি আছে।

মনোয়নপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, কামরানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা ছিল, যার সবগুলো থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন। আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭ মামলার কিছুর কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *