নিউজ ডেস্ক :
২৬ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোঃ হাসান উদ্দিন সরকার। খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে পাওয়া শিক্ষাকে আসন্ন নির্বাচনে কাজে লাগাতে চান গাজীপুরবাসী। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
২০১৩ সালের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান এবং গাজীপুরে এম এ মান্নান। তদানীন্তনকালের নগরপিতার কাছ থেকে খুলনা ও গাজীপুরবাসী তেমন কোন সুবিধাতো দূরে থাক এলাকার উন্নয়নও তারা দেখেনি । তারা লিপ্ত ছিল নানা রকম দুর্নীতিতে। এলাকার উন্নয়নের জন্য তৎকালীন সরকার কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা কাউন্সিলর প্রার্থীদের হাতে গিয়ে পৌঁছায়নি। তারা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের নিয়ে, বিভোর ছিলেন তৎকালীন সরকারের টাকা, জনগণ ও এলাকার উন্নয়নের টাকা কিভাবে নিজেদের করে নেয়া যায় এই ধান্দায়। কারাবন্দী ছিলেন নানা রকম অপরাধে লিপ্ত হয়ে। তারা মেয়র হিসেবে অনেকটা উদাসীন ছিলেন। সরকারের সার্বিক উন্নয়ন যজ্ঞে তারা সেই সময় তাল মিলাতে পারেনি।
এ রকম অবস্থার জন্যই বর্তমান খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে খুলনাবাসী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করেন। এছাড়াও তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনাবাসীর কাছে সততার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন । গাজীপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তারাও খুলনাবাসীর পথ অনুসরণ করবেন। সেই অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ।
গাজীপুরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ভাই প্রবীণ নেতা নুরুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি। গাজীপুরবাসী চাননা কোনো আসামি পরিবারের সদস্য নগরপিতার আসনে অধিষ্ঠিত হোক। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এ সব কারণেই বিএনপির প্রার্থীর ওপর গাজীপুরবাসীর আস্থা অনেক কম।