নিউজ ডেস্ক :
অনেক প্রতীক্ষার অবসান শেষে আগামী ২৬ জুন সংগঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে তেমন বিতর্ক না থাকলেও হাসান উদ্দিন সরকারের ভাই এমপি আহসানুল্লাহ মাস্টারের খুনি বলে এলাকাবাসীর মধ্যে বিতর্ক আছে তাকে নিয়ে। দেশের সবচেয়ে বড় এ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র হিসেবে বিএনপি প্রার্থী এম এ মান্নান ছিলেন গতবার। এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হওয়া প্রাক্তন এ মেয়র। এ সমস্ত কারণে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে এগিয়ে রাখছে গাজীপুরবাসী।
এদিকে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এ দুই প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা তত বেড়ে চলেছে। হাসান উদ্দিন সরকার নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে যতটা আশাবাদী ছিলেন তা যেন মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে যখন দেখছেন নিজ দলের কাউন্সিলর প্রার্থী ও নেতা কর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেননা। প্রাক্তন মেয়র এম এ মান্নান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হাসান উদ্দিনের অভিযোগ, তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে সমর্থন প্রদান করছেন।
অপরদিকে নিজের পরাজয় আসন্ন দেখতে পেরে নিজ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড়ের অভিযোগ তুলে ২১ জুন রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন হাসান উদ্দিন সরকার। বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র হতে জানা যায়, নির্বাচনের আগেই হাসান কিছু মিথ্যে প্লট তৈরী করে রেখেছে যাতে নির্বাচনে পরাজিত হলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এইসব অভিযোগ।
এছাড়া বয়স হয়ে যাবার কারণে শারীরিকভাবে শক্তসমর্থ নন হাসান উদ্দিন সরকার। গাজীপুরবাসী মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাই জাহাঙ্গীর আলমের মত তরুণ নেতাকেই বেছে নেবে বলে বিএনপি সূত্রের ধারণা।
গাজীপুর বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র হতে জানা যায়, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারেন হাসান উদ্দিন সরকার।