মাে ইমাম উদ্দিন সুমন, নােয়াখালী প্রতিনিধি : প্রকাশ- ৮ নভেম্বর১৬।

হাতিয়ায় এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, মামলা করে আসামিদের হুমকিতে বাড়ী ছাড়া। ঘটানাটি ঘটে নােয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ৬নং চর কিং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে, ঘটনা ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার দিনমজুর মেহরাজ উদ্দিনর মেয়ে রিমা আক্তার (১৯) একই এলাকার মাে আলমের বখাটে পুত্র মাে বাবলু (২২) রিমা আক্তার কে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে এতে রিমা রাজি না হওয়ায় বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রবিবার ভিকটিমের বসত ঘরে একা পেয়ে জাের পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার শাের চিৎকার আশ-পাশের লােকজন রিমা কে উদ্ধার করে এবং বাবলুকে আটক করে। সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বাবলু এবং রিমার বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাবলুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার ও স্থানিয় প্রভাবশালিরা। ২ মাস পর রীমা হঠাৎ অসুস্থ¯ হয়ে পড়লে চিকিৎসক রীমা অাত্নসত্বা হওয়ার বিষয়টি জানিয় দেন। রীমার অসহায় দিনমজুর পিতা মেহরাজ উদ্দিন মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বাবলুর বাড়িতে গেলে বাবলু ও তার বড় ভাই ফারুক (২৫), দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে রীমার ৭ মাসের অÍসত্ত্বা মা ও বাবা গুরুতর আহত হয়। উপরােক্ত বিষয়ে হাতিয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি হাতিয়া থানা পুলিশ। নিরুপায় হয় ধর্ষিতা বাদী হয়ে নােয়াখালী জেলা জজ আদালতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা করেন, মামলা নং-১৪৪৬/১৬। উক্ত আসামীরা মামলার বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধুমকি দিত থাক। প্রাণভয় বর্তমানে অসহায় পরিবারটি বাড়ি ছেড়ে অন্যর বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উক্ত বিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে ¯ানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভিকটিমের পরিবার।