নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম সদস্য, মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি কুমিল্লা দেবিদ্বারের বাগুর গ্রামের পিতা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মজিদ সাহেবের সন্তান লিটন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু চিহ্নিত দুস্কৃতিকারী হত্যার পরিকল্পনার ছক একেছে যা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন লিটন সরকার।
এ নিয়ে চিহ্নিত দুস্কৃতিকারী ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে লিটন সরকারের স্ত্রী বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি জিডিও করেন, জিডি নাম্বার ১২০০/১৮
তিনি অভিযোগ করেন,গত কয়েক দিন আগে কালাম সাহেব আমার হাসপাতালের অফিসে এসেছিলেন তার পক্ষে কাজ করতে কিন্তু আমি অস্বীকৃতি জানাই।কিন্তু
আবুল কালাম আজাদ আমার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্তি হয়ে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাকে হত্যা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ভাড়াটিয়া গুন্ডা নিয়োগ করেছে,মাদক অভিযানের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রেপ পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী দিয়ে আমাকে মারারও হুমকি দিচ্ছে এবং ঢাকায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাকে বানানো হচ্ছে মাদক সম্রাট।এ সময় তিনি ধিক্কার জানান ষড়যন্ত্রকারী আবুল কালাম, ভিপি কামাল, হুমায়ুন মাহমুদ সহ যারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমি ভিপি কামাল এবং হুমায়ুন মাহমুদ এদের সহযোদ্ধা ছিলাম,আওয়ামীলীগের রাজনীতির কঠিন সময়ে রাজপথে সকল সফল আন্দোলনের একমাত্র দাবিদার ছিলাম আমি।
বিভিন্ন সময় এরাই আমাকে উপাধি দিতো তুখোড় ছাত্রনেতা,ত্যাগী ছাত্রনেতা, তোমার মত ছাত্রনেতা এই দেশে খুব কম আছে অথচ আজ যখন তাদের সঙ্গে নাই তখনই আমি হয়ে যাই মাদক সম্রাট! ছিঃ।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের মধ্যে এই চান্দিনার বাগুর ছিলো মাদকের সম্রাজ্য। সেই সম্রাজ্য জীবনের যুকি নিয়ে ধ্বংস করেছি আমি সরকার লিটন। আপনারা অবগত আছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেও চার শত পিচ ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বিলকিস বেগম সহ মাদক সেবিকে ধরে পুলিশে সুপোর্দ করি আমি।
তিনি বলেন, যে মাদকের বিরুদ্ধে আমার দীর্ঘ সংগ্রাম, যে মাদক সেবি এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ চলমান যার স্বাক্ষী কুমিল্লার প্রশাসন, চান্দিনা এবং দেবিদ্বার থানা পুলিশ এবং যাদেরকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি এই গ্রামের গন্যমান্য মানুষ, এলাকার মেম্বার, মসজিদের ইমাম সাহেবরা। এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবগন, স্থানীয় মেম্বার সহ সবায় লিটন সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানের ভূয়সী প্রসংসা করেন।
তিনি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, গত ২৩ মে বুধবার
দেবিদ্বার বরকামতা ইউনিয়নের কাঠেরপুল নামক স্থানে
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক যাদব রায়ের উপর হামলা করে
চিহ্নিত বিএনপির সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন এর নেতৃত্বে মাসুদ রানা সহ আট দশ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।
সন্ত্রাসীরা তার মাথায়, পিঠে, বুকে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং হুকস্টি দিয়ে সারা শরীরে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাদব রায় এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেক)।
তিনি বলেন, বিচারকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে একই সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ নেত্রীর ছবি ছিরে আমাদের উপর মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছে ঢাকা বসে। অথচ দুঃখ লাগে গত দুই যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে জননেত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবন উৎসর্গ করে চলেছি আর এরাই আজ আমাদেরকে ষড়যন্ত্রের জালে আটকাতে মরিয়া।
সরকার লিটন বলেন, আমাকে সামাজিক ভাবে সম্মান নষ্ট করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করবেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাহাজাহান সরকার, ছাত্রলীগ নেতা আবু কাউছার অনিক ও মফিজ সরকার, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ মেম্মার, শাহ জালাল প্রমুখ।